ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আলিয়া সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তিনি এখনো কোন উত্তর দেননি।
আলিয়া আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্তারিত কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু এটা সত্য যে, গত ১০ বছর ধরে আমাদের মধ্যে সমস্যা চলছে। এবং এখন এই লকডাউনে মধ্যে চিন্তা করে মনে হয়েছে, আমাদের বিয়ে বিচ্ছেদ প্রয়োজন। তিনি মুজাফফরপুরে যাওয়ার আগেই আমি তাকে নোটিশটি পাঠিয়েছি, কিন্তু সে এখন পর্যন্ত জবাব দেয়নি। তাই আমাকে এখন আইনি পথেই যেতে হবে।
আলিয়ার আইনজীবী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, গত ৭ মে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। করোনা ভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে নোটিশটি দ্রুত ডাক যোগে পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাই ই-মেইল এবং ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অভিনেতাকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও আলিয়া সিদ্দিকী দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। তাদের ছেলের বয়স ৯ বছর এবং মেয়ের বয়স ৫ বছর।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরপুরের বুধানায় নিজেদের পুরনো বাড়িতে যাওয়ার পরই নওয়াজউদ্দিনসহ তার পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার পরও সুরক্ষার জন্যই আগামী ১৪ দিন অভিনেতা এবং তার তার মা ও ভাবীকে হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
জেআইএম