ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

একজন সৌমিত্র ও তার আলোকিত কর্মজীবন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
একজন সৌমিত্র ও তার আলোকিত কর্মজীবন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

৮৬ বছরে বয়সে শেষ হলো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মময় দীর্ঘ পথচলা। হাসপাতালে লম্বা লড়াইয়ের পর চলে গেলেন বাংলার প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা, নাট্যকার-বাচিকশিল্পী-কবি ও চিত্রকর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

 

তিনি পছন্দ করতেন না উৎসবের পর বিসর্জনের দিন। ছোটবেলায় জলঙ্গী নদীর পাড়ে বিসর্জনের কোলাকুলির মাঝেও বিসর্জিত প্রতিমার মুখে অনিবার্য ‘শেষ’ সবকিছু থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে জাগিয়ে রেখেছিল তাঁর মনে। পুরনো সেই ইচ্ছেপূরণে ছুট দিলেন বাঙালির অহংকার সৌমিত্র। লম্বা ছুট! 

একবার বিসর্জনের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন তিনি, ‘আমার মধ্যে বিসর্জনের অন্ধকার রয়েছে। যেটা এক আততায়ীর মতো বসে আছে। সে আর আমাকে ধরতে পারবে না। অতএব পালাও। দে ছুট, দে ছুট!’

নিজের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন ‘অপু’। পৃথিবী থেকে সরে যাওয়ার আগে প্রশ্ন রেখেছিলেন নিজের কাছে, ‘এই যে এত কিছু করলে। এ সব কেন? তুমি পাশ দিয়ে গেলে ওই যে ছেলেগুলো আজও চিৎকার করে, দ্যাখ-দ্যাখ, স-উ-মি-ত্র! স-উ-মি-ত্র যাচ্ছে, তার জন্য তো নয়। এটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য ছিল না? আমি তো চেয়েছিলাম, আমি হেঁটে গেলে লোকে বলবে, ওই যে যাচ্ছে! ওর মতো অভিনয় কেউ করতে পারে না। আদারওয়াইজ এই জীবনের কী মানে? মানুষের কী উপকার করতে পারলাম? তখন নিজেকে বোঝাই, অভিনয়ের মাধ্যমে যেটুকু আনন্দ বিতরণ করতে পেরেছি, সেটাও তো এক অর্থে মানুষের সেবা। সেটাও তো একটা উপকার। ’

বলা হয় ‘লাইফ ইজ দ্য আনসার টু লাইফ’। বাঙালির সংস্কৃতি প্রবহমানতার ইতিহাসে থেকে গেল সৌমিত্রের জীবন। তিনি মনে করতেন, সৃষ্টি-সংস্কৃতি-নির্মাণের মধ্যে যে মানুষ নেই সে মৃতপ্রায়। কেবল শারীরিক ভাবে বেঁচে থাকা ছিল তাঁর কাছে মূল্যহীন। সৃষ্টির সব ক্ষেত্রেই মগজাস্ত্রের আলোকিত নির্মাণ রেখে গেলেন তিনি।

সত্যজিতের সঙ্গে তাঁর মানসপুত্রের আলাপ ১৯৫৬ সালে। যাঁর পরিচালনায় মোট ১৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন সৌমিত্র।

নাহ্, উত্তমকুমার হয়ে ওঠেননি তিনি। দেব, জিৎ বা অন্যান্য তারকার মতো কমার্শিয়াল সিনেমায় দাপিয়ে কাজ করেছেন - এমনও নয়। তবু ‘বেলাশেষে’ তিনি সৌমিত্র! তাঁর একমাত্র সম্পদ ‘অ্যাকাডেমিক ইনটেলিজেন্স’। অভিনয়ে বুদ্ধির সংযত ঝলক। ওই মগজ দিয়েই শিখেছিলেন তিনি সিনেমার লাগসই মাপ। ক্যামেরার সামনে অবিচল থাকার বোধ। বাংলার আর কোন অভিনেতা স্বাভাবিক আলাপে ‘প্রতিস্পর্ধী’, ‘মনোগঠন’, ‘দার্ঢ্য’, ‘দ্বিত্ব’ বা ‘বিদ্যাবত্তা’র মতো শব্দ ব্যবহার করেন? কার বাচনভঙ্গিতে থাকে গভীর অধ্যয়নের ছায়া? কখনও তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ আবার কখনও সত্যজিৎ রায়ের প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ‘ময়ূরবাহন’ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী’। ‘ক্ষিদ্দা’ থেকে ‘উদয়ন পণ্ডিত’। বাঙালি তাঁকে ঘিরে সব আশা দু’হাত ভরে মিটিয়েছে।

সৌমিত্র একই সঙ্গে অভিনেতা, নাট্যকার, বাচিক শিল্পী এবং কবি। তার চিত্রশিল্পী পরিচয় অনেককে মুগ্ধ করলেও তিনি নিজে তাঁর ছবি আঁকা নিয়ে বরাবর সংশয়ী ছিলেন। একসময় ‘এক্ষণ’ সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনার কাজেও গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন সৌমিত্র । সেই কাজে তাঁর পাশে ছিলেন তাঁর ‘মানসপিতা’ সত্যজিৎ। তবে অভিনয়ই তাঁর রক্তে, স্মৃতিতে, জীবনের রোজনামচায়।  

একবার সৌমিত্র বলেছিলেন, ‘সেই শৈশবকাল থেকে আজ অবধি অভিনয় ছাড়া অন্যকিছু ভাবিনি। অভিনয়টা সবসময় বুকের মধ্যে লালন করতাম। অন্য যা কিছু করেছি সবই ছিল ভালোলাগার বহিঃপ্রকাশ। ’

শুধু ছবি আঁকা ঘিরে সংশয় নয়, চেহারা নিয়েও আশৈশব হীনমন্যতা ছিল সৌমিত্রের। খুব সঙ্কুচিত বোধ করতেন। ছোটবেলায় দীর্ঘ ৬৩ দিন টাইফয়েডে ভুগে হাঁটতে ভুলে গিয়েছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর নতুন করে হাঁটা শিখতে হয়েছিল। ‘আমাকে লোকে নেবে তো?’ এই ভীতি, শঙ্কা এবং প্রশ্ন ‘অপুর সংসার’-এ আবির্ভাব পর্যন্ত তাঁকে তাড়া করেছে। একজন পারফর্মার হিসাবে ছটফটিয়ে উঠত তাঁর মন। তাই সেলুলয়েডের পাশাপাশিই মঞ্চে, সাহিত্যে, গানে নিজের অন্তরের ক্ষুধা মিটিয়ে ফিরেছেন তিনি।

নিজের অভিনয় শুরুর দিনগুলো নিয়ে তিনি নিজেই বলেছিলেন, ‘বাবা সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। অভিনয় ও আবৃত্তির প্রতি ঝোঁক ছিল। কিন্তু তখন অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার প্রশ্ন ওঠেনি। সে কারণেই হয়তো বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে ওকালতি পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু একান্ত নিমগ্নতায় বাবাকে অভিনয় আর আবৃত্তিটাই করতে দেখেছি। এ সব দেখেই এক সময় অভিনয় ও আবৃত্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ে আমার। ’ 

সৌমিত্রের বাবা তাঁকে বোঝাতেন কী ভাবে অভিনয় করতে হয়। আবৃত্তি করতে হয়। এভাবে চিন্তার ক্রমাগত উৎকর্ষতায় পরবর্তীকালে কলকাতায় শিশিরকুমার ভাদুড়ির অভিনয় দেখে আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু সেখানেও ছিল সংশয়। সৌমিত্রের ভাষায় ‘আপনারা নিশ্চয়ই এই প্রতিষ্ঠিত সৌমিত্রকে দেখে ভাবছেন, এমন একজন লোকের অভিনয়ে আসার ক্ষেত্রে হীনমন্যতা কেন? কারণ, ছেলেবেলায় আমি দেখতে তেমন সুদর্শন ছিলাম না। ভাবতাম, সংকোচ ও রুগ্ন দেহ নিয়ে কী ভাবে আমি এই পথ পাড়ি দেব?’ 

মনে হয় সেই হীনমন্যতাই তাঁর কাজের রাস্তাকে আরও লম্বা করেছে। আরও কাজ। আরও কাজ। আরও। দেখা গেল অভিনেতা সৌমিত্র, লেখক সৌমিত্র, নাট্যকার সৌমিত্র, কবি সৌমিত্র, গায়ক সৌমিত্র, একলা ঘরে নিজের সঙ্গে কথা বলার সৌমিত্রকে। জীবনের ধুলোবালিতে ঘুরতে থাকলেন তিনি।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালে। কলকাতার মির্জাপুর স্ট্রিটে। ছেলেবেলা কেটেছিল ‘ডি এল রায়ের শহর’ কৃষ্ণনগরে। মা আশালতা চট্টোপাধ্যায় ছিলেন গৃহবধূ। বাবা মোহিত চট্টোপাধ্যায় পেশায় আইনজীবী ছিলেন। তাঁর নেশা শখের থিয়েটারে অভিনয়। নদিয়া থেকে হাওড়া। হাওড়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা। তারপর সিটি কলেজ থেকে বাংলার স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর।  

হাইস্কুল থেকেই অভিনয় শুরু সৌমিত্রের। সত্যজিতের সঙ্গে তাঁর মানসপুত্রের আলাপ ১৯৫৬ সালে। যাঁর পরিচালনায় মোট ১৪টি ছবিতে কাজ করেছেন সৌমিত্র। কথিত যে, সৌমিত্র–সত্যজিতের অভিনেতা–পরিচালকের রসায়ন বিশ্বসিনেমার ক্যানভাসে তোশিবো মিফুনে–আকিরা কুরোসাওয়া, মার্সেলো মাস্ত্রিওনি–ফেদেরিকো ফেলিনি, রবার্ট ডি নিরো–মার্টিন স্করসিসি, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও–মার্টিন স্করসেজির কেমিস্ট্রির সঙ্গে তুলনীয়।

সৌমিত্র-সত্যজিতের কর্মপদ্ধতি বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতা-নির্মাতাদের মধ্যে যেন অনেকটাই দুর্লভ। যেমন, ‘অশনি সংকেত’-এর শুটিংয়ের আগেই বীরভূমের গ্রামে হাজির হয়েছিলেন সৌমিত্র। সত্যজিতের সঙ্গে। সেখানকার মানুষজন আর তাদের জীবনযাপন দেখার ইচ্ছে নিয়ে। সত্যজিৎ গিয়েছিলেন নিজের অভ্যাসবশত লোকেশন খুঁটিয়ে দেখতে। আর সৌমিত্র নিজের নোটবুকে নানা ধরনের নোট নিচ্ছিলেন। গ্রামের লোকের ‘কমন ম্যানারিজম’, কী ভাবে তারা গা চুলকোয়, হাঁটে, কাঁধে গামছা রাখে, উবু হয়ে বসে ইত্যাদি। সঙ্গে নিজের কিছু চিন্তাভাবনাও লিখে রাখছিলেন। যা একজন অভিনেতার কর্মপদ্ধতির পরিচয় দেয়। পরিচয় দেয় মানসিকতারও। লোকেশন দেখার সময় লিখছেন, ‘অদ্ভুত সব গ্রাম— সুন্দর...’। আবার পরে যখন শুটিং করতে যাচ্ছেন, তখন লিখছেন ‘সামনে অনাহার। এই কোমল শ্যামল নিস্তরঙ্গতার মধ্যে মৃত্যুর পদসঞ্চার শোনা যায়’। পড়তে-পড়তে মনে হয় উপনিবেশের কালে জন্মানো সৌমিত্র আমাদের পরাধীন অস্তিত্বের ভিতর সঞ্চারিত স্বদেশজিজ্ঞাসার কোনও পাঠ তৈরি করছেন। ‘অশনি সংকেত’-এর শুটিং শেষ করে যখন ফিরছেন, তখন তাঁর কেবলই মনে হচ্ছে, ‘এই এতদিনে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে গঙ্গাচরণের (চরিত্রটির) জন্য যেন পুরোপুরি তৈরি হতে পেরেছি। অথচ ঠিক এখনই শেষ হয়ে গেল অভিনয়। ’

সত্যজিত রায়ের সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

সৌমিত্রের এই মনন, নিরন্তর অতৃপ্তিই তাঁকে সত্যজিতের সারাজীবনের সঙ্গী করে তুলেছিল। ‘সৌমিত্র নিজে থেকেই বুঝতে পারত আমি কী চাই’, সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সত্যজিৎ। আর লিখেছিলেন, ‘তার প্রতি আমার নির্ভরশীলতা আমার শিল্পীজীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বজায় থাকবে’। উল্টোদিকে সৌমিত্র লিখেছিলেন, ‘সারাজীবনে মানিকদার ছবিতে আমি প্রাণ খুলে যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়ে অভিনয় করতে পেরেছি। স্বাধীনতা গ্রহণ করার যে আত্মবিশ্বাস, তা ওঁর কাছেই পেয়েছি’। অপু হয়ে-ওঠার জন্য সৌমিত্রকে ‘অপুর সংসার’-এর চিত্রনাট্য দিয়েছিলেন সত্যজিৎ। তার আগে তিনি কোনও অভিনেতাকে চিত্রনাট্য দিতেন না। সঙ্গে দু’টি ফুলস্কেপ পাতায় লিখে দিয়েছিলেন অপু চরিত্রটি নিয়ে নানা দৃষ্টিকোণে দেখা নিজস্ব ভাবনা। পাশাপাশি সৌমিত্রও লিখেছিলেন ‘অপুর ডায়েরি’ এবং অপু সম্পর্কিত নিজের অভিজ্ঞতায় ভর-করা কল্পনা। এখনও যখন সে ছবি তৈরির স্মৃতিতে ফেরেন সৌমিত্র, তখন তিনি লেখেন, ‘বাস্তবতাকে মাপকাঠি করে অভিনয়ের ওই যে চেষ্টা, ওটাই অভিনয়ের আসল অভিপ্রায়’।

সত্যজিতের কাছে আসার আগে যখন অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রস্তুতির ভিত তৈরি করছিলেন নাট্যাচার্য শিশির ভাদুড়ির কাছে, তিনি বলেছিলেন, ‘যখন পড়বে তখন গোয়েন্দার মতো পড়বে। ’ শিক্ষার্থী সৌমিত্র কখনও ভোলেননি সে কথা। বলেছিলেন, ‘গোয়েন্দার মতো খোঁজা এখনও আমার ধ্রুবমন্ত্র হয়ে আছে। ’ সৌমিত্রর এই শিল্প অভিপ্রায়ই তাঁর দু’খণ্ডের বিপুল গদ্যসংগ্রহে বিবিধ বিষয়ে বিন্যস্ত।  

সৌমিত্রের স্বতন্ত্র স্বরের মূলে তাঁর আজীবনের আধুনিক মন। যখন নাটক রচনা করছেন, তা ‘সমকালের জীবনযন্ত্রণার অনুভবে’ বুনছেন। কারণ হিসেবে জানাচ্ছেন, ‘যা সমসময়ের স্বদেশের ক্ষেত্রেও সত্য বলে প্রত্যয় হয় সেইটাকেই রাখার চেষ্টা’। একই কারণ তাঁর রবীন্দ্রনাথ চর্চার ক্ষেত্রেও, ‘আজকের এই ছিন্নভিন্ন কর্তিত কুরুযুদ্ধের মতো কালে আমাকে ন্যায়-অন্যায়ের, হিত-অহিতের জ্ঞানে স্থিত রাখতে পারে। শুভকর্মে মানবমুক্তির পথে চালিত করতে পারে। ’ 

তাঁর এই গদ্যাদির একটি বাক্যাংশই যেন সত্য হয়ে ওঠে নাটক, গদ্যের পাশাপাশি তাঁর কবিতা বা ছবি আঁকাতেও। ‘অস্পষ্ট হলেও কোনও প্রচ্ছন্ন ইতিহাসের ক্ষীণ পদচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়’ সেখানে। দেখা যায় দীর্ঘ ৬০ বছরে উপনীত তাঁর অভিনয় জীবনেও। সেখানে অভিনীত চরিত্রগুলিতেও প্রচ্ছন্ন হয়ে থাকে ইতিহাসের স্বর। যে ইতিহাস বড় বিষাদময়। দেশকালের বিষণ্ণতা লেগে থাকে তাতে। বাংলা চলচ্চিত্রে এখনও ভালো অভিনেতা অনেকেই আছেন, ছিলেনও। কিন্তু সৌমিত্রের মতো শিল্পীর দেখা কমই পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
ওএফবি/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।