ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনকে হারানোর দুই বছর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনকে হারানোর দুই বছর আমজাদ হোসেন

দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনকে হারানোর দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ৭৬ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই কিংবদন্তি।

আমজাদ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার নিজ জন্মভূমি জামালপুরে শোক র‌্যালি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে র‌্যালিটি সকাল ১১টায় জামালপুর শহরের তামালতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেন শায়িত পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হবে। এছাড়া দিনব্যাপী কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে।

আমজাদ হোসেনের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিএফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনও করা হয়েছে।

আমজাদ হোসেন একাধারে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি।

মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর অভিনয় করেন মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে।

আমজাদ হোসেনের লেখা নাটক ‘ধারাপাত’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সালাহউদ্দিন। এতে তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এরপর আমজাদ হোসেন কাজ শুরু করেন জহির রায়হানের সঙ্গে।

১৯৬৭ সালে নিজেই নির্মাণ করেন প্রথম চলচ্চিত্র ‘জুলেখা’। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ব্যাপক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।  

শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।