ঢাকা: পর্দা নামলো ১৪তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’-এ স্লোগানে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে সাত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এবারের আসরের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।
এবারের আসরে সাতটি বিভাগে ১২টি পুরস্কার দেওয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
পুরস্কারের ক্যাটাগরি:
বাংলাদেশি শিশু নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে পাঁচটি পুরস্কার: ১. টেনোর, ২. ত্রিকোণমিতি, ৩. ঠোঙা ৪. পুপেট্রি ও ৫. এন ইন্টারভিউ অফ এ মারিওনেট্টি।
তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতাদের বিভাগে দু’টি পুরস্কার: ১. মাটি ও ২. লটারি (বিশেষ পুরস্কার)।
সামাজিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে একটি পুরস্কার: পেয়েছে এ নিউ নর্মাল।
আর্ন্তজাতিক শিশু নির্মাতাদের বিভাগে একটি পুরস্কার: পেয়েছে স্নো (তুর্কি)।
আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে একটি পুরস্কার: জেকি অ্যান্ড ও ওপজেন (নেদারল্যান্ড)।
আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম বিভাগে একটি পুরস্কার: আন্ডার দ্যা স্টরক'স নেস্ট (আর্মানিয়া)।
আর্ন্তাজাতিক বিভাগের সেরা নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন আনি ওগানেস্যান। চলচ্চিত্র: আন্ডার দ্যা স্টরক'স নেস্ট (আর্মানিয়া)
এর আগে এমন আয়োজন ও আয়োজকদের প্রশংসা করে পলক বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে বলেই এতো বাধা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালকে সফলভাবে আয়োজন করেছে। তাদের মেধার ঘাটতি নেই দরকার শুধু একটি সুযোগের। তার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা শিশুদের আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে নয় হাজার শেখ রাসেল ল্যাব তৈরি করে দিয়েছি। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার তৈরি করব। এসব স্থানে তারা অ্যানিমেশন, ভিএফএক্স, রোবোটিক্সসহ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবে। তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকমানের হলে দেখানোর জন্য আমরা হাইটেক পার্কে একটি মাল্টিপ্লেক্স করছি।
চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তার অঙ্গীকারও করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের জন্য যেন শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম পাওয়া যায় তার জন্য তথ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী ও প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
দেশের বিরুদ্ধে আসা সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চলচিত্রের মাধ্যমে ক্ষুদে নির্মাতা ও কলাকুশলীরা অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পলক।
এ সময় সংগঠনটিকে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের উৎসবে ঢাকার তিনটি ভেন্যুতে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আসরে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে ৬১ চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে পাঁচটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
এসএইচএস/আরবি