অনেক গুণে গুণান্বিত সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল। গান লেখেন, সুর করেন, কণ্ঠে তুলেন এবং সংগীত পরিচালনার কাজটিও করেন।
দু’বছর আগেই ঘর বেঁধেছিলেন পুতুল। কিন্তু সে ঘর টেকেনি বেশিদিন। বিয়ের দু’বছর পূর্তিতে তাই একবার পেছন ফিরে তাকালেন শিল্পী। গভীর জীবনবোধ থেকে অনুরাগী বন্ধুদের সঙ্গেও ভাগ করলেন তার অনুভূতি।
সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুতুল লিখেছেন, ‘দুই বছর আগে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম, ঢুকেছিলাম যুগল জীবনযাপনে। বিবাহিত জীবনের খুব অল্প দিনের মাথায় বুঝেছিলাম পথটা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এই পথটা ঠিক যেন আমার কল্পনার সেই পথটা নয়, যে পথে আনন্দে হেঁটে নেয়া যায় অক্লেশে। মত আর আদর্শিক পার্থক্যগুলো নিছক পার্থক্য থেকে রূপ নিচ্ছিলো চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে। সম্পর্ক মুমূর্ষু হচ্ছিলো, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলো আমার সৃষ্টিশীল সত্তা।
পুতুল জানান, বিচ্ছিন্নতার সিদ্ধান্ত তখনই নিয়েছিলেন তিনি। ঘটান বিচ্ছেদ। তার ভাষায়, ‘অতঃপর আবার আমার সেই একক জীবনে ফেরা, সুর আর সাহিত্যের সাথে নির্বিঘ্ন একক সংসার। বিয়েটা ঘটা করে হবার বিষয়, বিচ্ছেদে ঘটা করার কিছু নেই। বিচ্ছেদে বিষাদের সুর বাজে আত্মায়। সেই সুর মন পাড়াতে একলা বাজা-ই ভালো। সকলকে নিয়ে সেই বিচ্ছেদী সুর উদযাপনের কিছু নেই। কিন্তু চূড়ান্ত সত্য এই, সেই বিষাদে কোথাও মুক্তির গন্ধ মিশে থাকে, থাকে মুমূর্ষুতার অবসানে লম্বা করে নিশ্বাস নেয়া। জীবনটা বেঁচে ওঠার সুযোগ পায় আরো একবার। সেই জীবনটাকে বাঁচিয়ে দেয়া জীবনের প্রতিই সুবিচার বলে বিশ্বাস করি।
কিন্তু এতদিন পর আজ হঠাৎ এসব কথা কেন? পুতুল বলেন, ‘আজ এতো দিন পর এই কথাগুলো বলার একটাই কারণ। সম্পর্কটার ভিতরে থাকলে যৌথ জীবন উদযাপনের দুই বছর হতো আজ। যেহেতু একক জীবনযাপন করছি, এই দিনটার কোনো বিশেষত্ব বা মহিমা নেই। বছরের অন্য দিনগুলোর মতোই একটা তারিখ মাত্র। শুভেচ্ছা শুভকামনা জানানোর কিছু নেই। জীবন সহজ হবার স্বপ্নে যেমনি শুভকামনা জানাই নিজেকে নিজে প্রতিদিন, আজও তা জানাচ্ছি। ফেসবুক যতোই স্মৃতিতে ফেরাতে চাক দুই বছর আগের আজকের দিনে, নিজের কাছে নিজের প্রত্যয় কেবলই সামনে তাকানোর। মঙ্গল হোক সবার। ’
আরও পড়ুন পুতুলের একান্ত সাক্ষাৎকার: ‘বিয়ের পর দায়িত্বটা বেড়ে গেছে’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
এমকেআর