চার দশকের ক্যারিয়ারে দারুণ কিছু সিনেমা উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন। ১৯৯২ সালের ‘ব্যাসিক ইন্সটিংক্ট’ সিনেমায় তার ক্রস-লেগ তথা পায়ের ওপর পা তোলা দৃশ্যটা এখনও দর্শকের মনে দাগ কেটে আছে।
দারুণ কিছু করতে হলে অবশ্যই কিছু মূল্য চোকাতে হয়। আলোচিত সেই দৃশ্যটি ধারণ করতে গিয়েও যথেষ্ট মূল্য চোকাতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। দৃশ্যটি ধারণ করার জন্য তাকে অন্তর্বাস খুলতে বলায় একজন অভিনেত্রী হয়েও পরিচালককে থাপ্পড় মেরেছিলেন শ্যারন স্টোন। যদিও প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সত্যিই তাকে অন্তর্বাস খুলতে হয়েছিল। আর তার পুরস্কার হিসেবে এ দৃশ্যটিই সিনেমাটির জন্য আইকনিক হয়ে উঠেছিল।
শ্যারন স্টোনের আত্মজীবনী চলতি মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে। নাম ‘দ্য বিউটি অব লিভিং টোয়াইস’। সেখানেই জীবনের এমন অজানা ঘটনা প্রকাশ করছেন ‘ব্যাসিক ইন্সটিংক্ট’খ্যাত অভিনেত্রী।
প্রাত তিন দশক পর গোপন কথাটি আর গোপন রাখলেন না শ্যারন স্টোন। তিনি জানান, এটা ছিল ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তার ব্যক্তিগত অঙ্গ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল কিনা তা তার জানা ছিল না। তার প্রতিনিধি ও আইনজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে একটা ঘরে সিনেমাটি দেখে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বস্তিতে ছিলেন না।
আত্মজীবনীতে শ্যারন লিখেছেন, ‘ওটাই ছিল আমার গোপনাঙ্গের প্রথম শট। আমাকে বলা হয়েছিল, ‘আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। আপনার অন্তর্বাস খুলে ফেলুন। কারণ, সাদা রঙে ক্যামেরার আলো প্রতিফলিত হচ্ছে। তাই বোঝা যাচ্ছে যে, আপনি অন্তর্বাস পরে আছেন। ’
এরপর শ্যারন বলেন, ‘হ্যাঁ, এ বিষয়ে অনেক দৃষ্টিকোণ থেকেই কথা বলা যায়। কিন্তু যেহেতু আমি একজন নারী, সুতরাং আমার বিষয়ে আমার সিদ্ধান্তই আসল কথা। ‘
পরিচালক এই নির্দেশনা দেওয়ার পরপরই তাকে চড় মেরেছিলেন শ্যারন স্টোন। সঙ্গেসঙ্গেই নিজের আইনজ্ঞকে ডেকে পাঠান তিনি। আত্মজীবনীতে তিনি জানান, এরপর নির্মাতা পল-কে তিনি বলেন তার জন্য বিকল্প কোন অপশন আছে কিনা। নিশ্চিতভাবেই তিনি উত্তর দেন, আর কোনও বিকল্প উপায় নেই।
শ্যারন বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী মাত্র, একজন নারী। আমার আর কী বিকল্প থাকতে পারে? কিন্তু আমার বিকল্প ভাবার সুযোগ ছিল। আমি বহু চিন্তা-ভাবনা করে সিনেমায় দৃশ্যটা রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম। কেন? কারণ এটা সিনেমাটির জন্য সঠিক ছিল, আর চরিত্রটার জন্যও প্রয়োজন ছিল। আর সর্বোপরি, আমি এটা করেছিলাম। ’ বাকিটা তো দর্শকরাই জানেন। স্মরণীয় হয়ে থাকলো দৃশ্যটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এমকেআর