গেল ফেব্রুয়ারিতেই মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনকেন্দ্রিক ডকুমেন্টারি টেলিফিল্ম প্রকাশ করে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। প্রায় দুই মাস পর নিরবতা ভেঙে মুখ খুলেছেন আলোচিত গায়িকা।
৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনালেখ্য। নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডকুমেন্টারিতে ব্রিটনির জীবন, তারকা হিসেবে তার বেড়ে ওঠা, তার সংগ্রাম, বাবা জেমি স্পিয়ার্সের অধীনে কঠোর নিয়মে হেফাজত এবং সামাজিকমাধ্যমে #ফ্রিব্রিটনি আন্দোলন সবকিছুই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টেলিফিল্মটির প্রশংসা করছেন সমালোচকরাও।
ডকুমেন্টারি নিয়ে এর আগে পরোক্ষভাবে কথা বলেছিলেন ব্রিটনি। তবে এবার তিনি মুখ খুলেছেন। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ফিল্মটি ঘিরে তার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন গায়িকা। তবে অনেক ভক্ত-অনুরাগী মনে করছেন, তিনি নিজে হয়ত এই মন্তব্যটি লেখেননি।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ব্রিটনি লেখেন, আমার জীবন ঘিরে সবসময়ই জল্পনা জাল বুনেছে। দেখলাম এবং আমার পুরো জীবনটা কেমন তা ভাবলাম। আমি সারাজীবন মানুষের সামনেই পারফর্ম করেছি। দুনিয়াকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন, কারণ মিডিয়া সবসময়ই আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বলেছে, অপমান করেছে, বিব্রত করেছে। আর তা এখনও করছে।
ব্রিটনির পোস্টে আরও লেখা হয়, আমি ডকুমেন্টারিটি দেখেছিলাম না। কিন্তু তারা আমার জীবনের ওপর যেভাবে আলোকপাত করেছে তাতে আমি বিব্রত। আমি দুই সপ্তাহ ধরে কেঁদেছি। এখনও কান্না পায় আমার।
তিনি বলেন, আমি আমার আনন্দ, প্রেম ও সুখকে বজায় রাখতে আধ্যাত্মিকতা চর্চা করি, প্রতিদিন নাচি। এটাই আমাকে আনন্দ দেয়। আমি পারফেক্ট মানুষ হতে আসিনি। সেটা বিরক্তিকর।
ব্রিটনি স্পিয়ার্সের এমন পোস্ট দেখে তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছেন অনুরাগীরা। তবে তাদের অনেকেরই দাবি, এটা গায়িকা নিজে লেখেননি। কারণ তার ইনস্টাগ্রামের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে নেই।
আরও পড়ুন: বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভালো নেই ব্রিটনি স্পিয়ার্স!
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এমকেআর