ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ, ‘মিঠাই’ নিয়ে ক্ষোভ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ, ‘মিঠাই’ নিয়ে ক্ষোভ বিতর্কিত দৃশ্য

ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ‘মিঠাই’ নামের ধারাবাহিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি২৪ ঘণ্টা জানায়, রোববার (৩০ জানুয়ারি) ধারাবাহিকটির একটি পর্ব সম্প্রচারের পর সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

 

‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের এই পর্বে এক সংবর্ধনাকে ঘিরে দেখানো হয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত শিল্পীরা কণ্ঠে তোলেন ‘আমার সোনার বাংলা’, যেটা রবীন্দ্র সংগীত হিসেবে তুলে ধরা হয় এবং মঞ্চের সামনে থাকা সবাই বসে থেকে গানটি উপভোগ করেন। এতেই বেঁধেছে বিপত্তি! কেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত চলাকালে সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানালো না, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এই ঘটনার পরেই ধারাবাহিকের অভিনেতারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’র প্রতি সম্মান দেখায়নি বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতো রবীন্দ্র সংগীত থকতে এই গানই বা কেন বেছে নিল ধারাবাহিকের পরিচালক? এমন প্রশ্ন তুলে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে ধারাবাহিকটি বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন অনেকে।

এক নেটিজেন লেখেন, ‘গতকাল হঠাৎ একটা জিনিস চোখে পড়ল ইন্ডিয়ার একটা টিভি চ্যানেলে আমাদের জাতীয় সংগীত উপস্থাপন করা হয়েছে। নাটকটির নাম মিঠাই। সেখানে জাতীয় সংগীতকে উদ্বোধনী গান বানিয়েছেন তারা! তাতেও আমার সমস্যা নাই। কিন্তু নাটকের ডিরেক্টর বা অন্য কারও কি মাথায় আসেনি এটা একটা দেশের জাতীয় সংগীত। দেশকে সম্মান দেখাতে না পারুক অন্তত সংগীত চলাকালীন সবাই দাঁড়িয়ে সম্মানটুকু দিক। আমি ছোট মানুষ, স্বল্প জ্ঞানে এটাই বুঝি সম্মানটুকু প্রাপ্য। ’ 

আরেক নেটিজেন লেখেন, ‘বাংলাদেশকে অপমান করেছে মিঠাই’।  

এদিকে,  অনেকেই আবার দাবি করেছেন, শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা করা গান অর্থাৎ রবীন্দ্র সংগীত হিসেবেই এটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে অপমান করার কোনো উদ্দেশ্য ধারাবাহিকের নির্মাতা এবং কলাকুশলীদের ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।