দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ গুণী অভিনেতা প্রবীর মিত্র। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ছাড়াও নানা রকম ব্যাধিতে আক্রান্ত তিনি।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করলেন প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া।
তিনি জানান, নিয়মিত শারীরিক চেক-আপ ও হাঁটুর সমস্যার কারণে তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে থেকে ভারতে গেছেন প্রবীর মিত্র।
সোনিয়া বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ির অনেক লোক ভারতের থাকেন। তাদের সঙ্গে দেখা এবং শারীরিক চেক-আপের জন্য আব্বাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আব্বার হাঁটুতে সমস্যা আছে। তবে তেমন জটিল কিছু নয়। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। ’
৭৬ বছর বয়সী প্রবীর মিত্র দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। হাঁটুর ব্যথার কারণে ঘর থেকে বেরও হন না এই অভিনেতা। ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি করোনায় আক্রান্তও হয়েছিলেন।
পর্দায় নায়ক চরিত্রে যেমন সফল হয়েছেন, তেমনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবেও সমানভাবে আলো ছড়িয়েছেন প্রবীর মিত্র। পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তার প্রথম সিনেমার নাম ‘জলছবি’। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেতা।
‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’-এর মতো সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে প্রবীর মিত্রকে। এছাড়া ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায় মূখ্য চরিত্রে ছিলেন তিনি। তার অভিনীত অনান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে- ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সীমার’, ‘তীর ভাঙা ঢেউ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘অঙ্গার’, ‘পুত্রবধূ’, ‘নয়নের আলো’, ‘চাষীর মেয়ে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘আবদার’, ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়ান’, ইত্যাদি।
কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। আর ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
এনএটি