ভারতের কিংবদন্তী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) মারা যান। ক্যারিয়ারের শুরুতে মারাঠি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন লতা মঙ্গেশকর।
কিন্তু লতা মঙ্গেশকর ‘মহল’ সিনেমার ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গান দিয়ে সবার মন জয় করে নেনে। প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন প্রথম গান থেকেই। তবে ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি জনপ্রিয়তা এনে দেয় সুরসম্রাজ্ঞীকে।
গানের জন্য পারিশ্রমিকের বিষয়ে প্রথম থেকেই লতা মঙ্গেশকর ছিলেন শীর্ষে। শোনা যায়, তিনি তার প্রথম গানের জন্য সেই যুগে পেয়েছিলেন প্রায় ৫০০ টাকা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, লতা মঙ্গেশকর তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু দিকে গান প্রতি ২০,০০০ টাকা পেতেন। তারপর পারিশ্রমিক বেড়ে হয় ৫০,০০০ টাকা। এরপর লতা মঙ্গেশকরের পারিশ্রমিক গান প্রতি দাঁড়ায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আবার তার এমন অনেক গান রয়েছে যেগুলোর জন্যে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি সুর।
লতা মঙ্গেশকর ৩৬ ভাষার গানের কণ্ঠ দিয়েছে। বাংলা ভাষায় তার গান রয়েছে ১৮৫টি। ১৯৫৬ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর করা ‘প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে’ গানের মাধ্যমে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। একই বছরে তিনি ভূপেন হাজারিকার সুর করা ‘রঙ্গিলা বাঁশিতে’ রেকর্ড করেন। এরপর থেকে বাংলা গানেও নিয়মিত কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন তিনি।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর গান ঢাকাই সিনেমাতেও শোনা গেছে। ১৯৭২ সালে নির্মাতা মমতাজ আলী নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘রক্তাক্ত বাংলা’। এই সিনেমার ‘ও দাদাভাই’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গাওয়া লতা মঙ্গেশকরের একমাত্র গান।
লতা মঙ্গেশকরের অনান্য জনপ্রিয় বাংলা গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘ও মোর ময়না গো’, ‘ও পলাশ ও শিমুল’, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বেলে’-এর মতো কালজয়ী গান।
১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরের জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। আর ৯২ বছর বয়সে ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
এনএটি