চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনায় রয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। অন্যদিকে বরাবরই আলোচনায় থাকের হিরো আলম।
হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জায়েদ খান ও হিরো আলমের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি রিমেম্বারিং দেখাচ্ছে। সাধারণত কেউ মারা গেলে ফেসবুক তার অ্যাকাউন্টটি রিমেম্বারিং করে দেয়। কিন্তু জায়েদ খান ও হিরো আলম এখনও জীবিত।
এ বিষয়ে জায়েদ খান খান বলেন, ‘একটি চক্র আমার পেছনে লেগেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চক্রটি তৎপর হয়ে উঠেছে। তারাই রিপোর্ট একজন জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে দিচ্ছে। ’
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জায়েদ খানের প্রোফাইলে লিখেছে, ‘আমরা আশা করি যারা জায়েদ খানকে ভালোবাসেন, তারা তাকে স্মরণ ও সম্মানিত করার জন্য তার প্রোফাইল পরিদর্শন করে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন। ’
জায়েদ খানের অফিসিয়াল আইডিতে আড়াই লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। তার নিয়মিত আপডেট এই প্রোফাইলের মাধ্যমেই অনুরাগীদের জানাতেন তিনি। এর আগেও জায়েদ খানের আইডিতে একাধিকবার সাইবার অ্যাটাক হয়েছে।
এদিকে, হিরো আলমের ২০ লাখ অনুসারীর ফেসবুক পেইজটিও মৃত ঘোষণা করেছে ফেসবুক। এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি জানি না এমনটা কেন ঘটেছে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি এই অবস্থা। কে যে কখন আমাকে শত্রু ভেবে বসলো বুঝতে বপারছি না। ’
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলে ৫ ফেব্রুয়ারি সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে।
পরে নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে আদালতের দারস্থ হন জায়েদ খান। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে হিরো আলম নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। বর্তমানে আশুয়ালিয়ার একটি লোকেশনে গানের শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন তিনি।