ঢাকাই সিনেমার ‘আম্মাজান’খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। ৭৯ বছর বয়সী প্রবীণ এই অভিনেত্রীর এখন আর অভিনয় করেন না।
জানা যায়, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শবনম। চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি। তবে সেগুলোর রিপোর্ট হাতে পাননি। চিকিৎসকরা জানান, তার গুরুতর কোনো সমস্যা নেই।
করোনার যে সব উপসর্গ রয়েছে তার মধ্যে সর্দি ও কাশি ছাড়া আর কিছু নেই। দ্রুত যেন সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ‘হারানো দিন’ সিনেমার এই নায়িকা।
বাংলাদেশের সিনেমা ছাড়াও এক সময় পাকিস্তানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন শবনম। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। এর পরের বছর উর্দু সিনেমা ‘চান্দা’য় অভিনয় করে সাফল্য পান। সিনেমা দুটি মুক্তির পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গুণী এই অভিনেত্রীকে।
শবনম অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘নাচঘর’, ‘কাজল’, ‘আখেরী স্টেশন’, ‘দরশনর, ‘তুম মেরে হো’, ‘উত্তরণ’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘নাচের পুতুল’, ‘যোগাযোগ’, ‘সন্ধি’, ‘আমার সংসার’, ‘কারণ’, ‘দিল’, ‘জুলি’, ‘সহধর্মিনী’, ‘শর্ত’ ও ‘আম্মাজান’।
বাংলাদেশে প্রায় অর্ধশত সিনেমায় অভিনয় করলেও পাকিস্তানের প্রায় ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শবনম। সেখানকার চলচ্চিত্রের সবচেয়ে পুরাতন ও অফিশিয়াল পুরস্কার (নিগার পুরস্কার) ১৩ বার পেয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ২০১২ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে।
বাংলাদেশের কম সংখ্যক সিনেমায় অভিনয় করলেও প্রায়গুলোই জনপ্রিয়। সবশেষ তাকে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। আর করোনার আগে ‘মোহিনী ম্যানসন কি সিনডেরালিয়েন’ নামের পাকিস্তানের একটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
এনএটি