জায়েদ খানকে বয়কট করলো চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান।
তিনি বলেন, শনিবার (০৫ মার্চ) সকাল ১১টায় পরিচালক সমিতিতে একটি মিটিং হয়েছে। যেখানে আজ থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিও যুক্ত হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জায়েদের সঙ্গে এখন থেকে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের কেউ কাজ করবো না। সেইসঙ্গে তার কোনো সিনেমা হল মালিকরা প্রদর্শনীও করবে না।
সোহানুর রহমান সোহান জানান, তবে এই মিটিংয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাই লিখিতভাবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটিকে আমরা জানাবো। জায়েদ খান ছাড়া যদি আমাদের সঙ্গে আসে তবে তাদের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিবারের কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, জায়েদ খানের বয়কটের বিষয়টি ১৮ সংগঠনের সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিবার আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতেও জানিয়েছেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সদ্য হয়ে যাওয়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চলচ্চিত্রের অনান্য সংগঠনগুলোর সদস্য বিএফডিসিতে প্রবেশ করতে পারেনি সংগঠনটির ভোটার ছাড়া। যা ছিল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অশোভন ও অপমানজনক। এ ঘটনায় জায়েদ খানের ভূমিকা প্রমাণ হওয়ায় সকল সংগঠনের নেতারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, জায়েদ খানের সঙ্গে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের কোন সদস্য কোন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করিবেন না।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, আজ থেকে জায়েদ খানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বয়কট করা হলো। সকল সংগঠনের পরবর্তী সম্মিলিত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকিবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে আহবায়ক করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘চলচ্চিত্র পরিবার’। মূলত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ ও বিদেশি সিনেমা আমদানিতে অনিয়মের প্রতিবাদে এই পরিবারের জন্ম।
চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, নৃত্য পরিচালক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সমিতি, ফাইট ডিরেক্টরদের সমিতি, সহকারী পরিচালকদের সমিতি, মেকাপম্যানদের সমিতি, প্রোডাকশন ম্যানেজারদের সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মোট ১৮টি সংগঠন নিয়ে এই পরিবার গঠিত। বর্তমানে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’র মুখপাত্র চিত্রনায়ক আলমগীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
এনএটি