ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

৮ কালজয়ী সিনেমা নিয়ে ‘সত্যজিৎ স্পেশাল’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ১, ২০২২
৮ কালজয়ী সিনেমা নিয়ে ‘সত্যজিৎ স্পেশাল’ সত্যজিৎ রায়

উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন সোমবার (১ মে)। ১৯২১ সালে কলকাতায় জন্ম নেওয়া সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের সন্তান সত্যজিৎ রায়।

 
প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্রকারের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মে মাস জুড়ে মোট ৮টি সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘সত্যজিৎ স্পেশাল’। ২ মে মুক্তি পাবে ‘হীরক রাজার দেশে’। এরপর ৯ মে দর্শক দেখতে পারবে ‘অশনি সংকেত’ ও ‘সোনার কেল্লা’। তারপরের সিনেমা যেদিন দেখা যাবে-

অভিযান (২৩ মে)
রাজপুত হওয়া সত্ত্বেও নরসিংহ নিজেকে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করেন। ব্যবসায়ী সুখারাম একদিন তাকে বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আফিম পাচারের প্রস্তাব করেন। নরসিংহ কি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবেন?

অপরাজিত (১৬ মে)
বাবা হরিহর মারা যাওয়ার পর অপু ও তার মা সর্বজয়ার নতুন জীবন শুরু হয় বেনারসে। একসময় বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনার জন্য কিশোর অপু বেনারসের মামার বাড়ি থেকে কলকাতায় পাড়ি জমায়। একা হয়ে পড়ে সর্বজয়া। ছেলের জন্য অপেক্ষায় দিন কাটে তার। ছেলের জন্য পথ ধরে বসে থাকে সে। অপু কি ফিরে আসে তার মায়ের ডাকে?

চিড়িয়াখানা (২৩ মে)
ব্যোমকেশ বক্সীর হাতে আসে এক নতুন কেস। সুনয়না নামের এক অভিনেত্রীর নিখোঁজ যাওয়ার ঘটনা তদন্তের জন্য নিশানাথ বাবু অনুরোধ করেন ব্যোমকেশকে। কিন্তু নিশানাথ বাবু নিজে খুন হওয়ার পর ঘটনা আরও জটিল হয়ে ওঠে। এখন কি করে ব্যোমকেশ বক্সী এই কেস সলভ করবেন সেটাই দেখতে হবে।

হীরক রাজার দেশে (২ মে)
গোপী-বাঘার গানে মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতারা। হীরক রাজার দরবারে হাজির হয় তারা। অতিষ্ঠ জনগণ রাজার অত্যাচারে।  গোপী-বাঘা নাকি হীরক রাজ—কে জিতে কে হারে?

জলসাঘর (৩০ মে)
জমিদার বিশ্বম্ভর রায়ের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা তার জলসাঘর। সেখানে কদিন পরপর বাইজি ডেকে গানে আর সুরায় মশগুল হয়ে থাকতেন তিনি। হঠাৎ একদিন এক দুর্ঘটনায় বিশ্বম্ভর বাবুর স্ত্রী ও ছেলে খোকা মারা যায়। এরপর থেকে জমিদার বিশ্বম্ভর গানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। হারিয়ে ফেলেন তার সহায়–সম্পত্তিও। বিশ্বম্ভর বাবু কি আবার তার জলসাঘরে আলো ফেরাতে পারবেন? ফিরে পাবেন হারানো প্রভাব–প্রতিপত্তি?

পথের পাঁচালী (১৬ মে)
অপু এবং দুর্গার বাবা নিশ্চিন্তপুরের পুরোহিত হরিহর রায় পরিবার রেখে শহরে যান উন্নত জীবনের আশায়। আর গ্রামে অপু-দুর্গার দুরন্ত শৈশব কাটে অভাব–অনটনে। একপর্যায়ে দুর্গা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে, কিন্তু তার মায়ের ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। দুরগা-অপুর দুরন্ত শৈশব ও সামাজিক পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে নির্মিত পথের পাঁচালি।

সোনার কেল্লা (৯ মে)
স্কুলপড়ুয়া মুকুল ধর দাবি করে, তার পূর্বজন্মের সব কথা মনে আছে। সোনার কেল্লায় রত্নের কথা উল্লেখ করার পর মুকুলকে অপহরণ করেন ড. হাজরা। ফেলুদা এই কেস নিজ হাতে নেন। ফেলুদা কি পারবেন মুকুলকে ড. হাজরা থেকে উদ্ধার করতে?

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।