সিনেমায় বহু পোশাকে দেখা যায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। এ জন্য বানাতে কিংবা তাদের কিনতে হয় অনেক জামা।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এই অভিনেত্রী শপিং করার বিষয়ে বলেন, এবারের ঈদে নিজের জন্য কিছুই কেনা হয়নি। তবে, প্রচুর উপহার পেয়েছি। নিজের জন্য না কিনলেও মা-বাবা ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ভালোই কেনা-কাটা করা হয়েছে।
এবারের ঈদের দিনটি পরিবারের সঙ্গে বাসায়ই কাটাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া। তিনি বলেন, ঈদের দিন বাসায় রয়েছি। যেহেতু আমাদের যৌথ পরিবার। তাই ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবার একসঙ্গে প্রচুর খাওয়া দাওয়া হয়। এরপর চাচাদের বাসায় যাওয়া হবে, সবার সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হবে। বছরের অন্যান্য সময় ডায়েট চাট মেনে চললেও ঈদের দু-তিন দিন কোনও ডায়েট চার্ট ফলো করা হবে না।
বিশেষ খাবারের প্রতি দুর্বলতা এবং রান্নার অভ্যাস রয়েছে কিনা? এ বিষয়ে ‘আশিকী’ সিনেমার এই নায়িকা বলেন, ঈদের দিনে বিশেষ করে আম্মুর হাতের পোলাও, রোস্ট, গরুর মাংস ভীষণ পছন্দ আমার। এছাড়া আম্মুর হাতের যে কোনো রান্নাই আমার খুব প্রিয়। ঈদে নিজেও রান্না করার চেষ্টা করি। যেমন আমি শাহী টুকরা বানাতে বেশ পছন্দ করি, সঙ্গে মিষ্টিও।
ঈদ উপলক্ষে এখনও প্রচুর সালামি পান এই অভিনেত্রী। ফারিয়া জানান, বাসার বড়রা এখনও তাকে সালামি দেয়। সর্বনিম্ন হলেও সেটার পরিমাণ দাঁড়ায় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। আাবার বাসার ছোটদেরকেও সালামি দিতে হয় ফারিয়াকে।
করোনার পর এবারই বড় পরিসরে ঈদের সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। তিনি বলেন, এবার মনে হয় সিনেমা মুক্তির মাধ্যমে দর্শরাও হলমুখী হবেন। এর ফলে করোনার কারণে যেসব সিনেমার মুক্তি আটকে ছিল সেগুলোও ধীরে ধীরে মুক্তি পাবে। আর ঈদের দিন হয়তো হলে যাওয়া হবে না। তবে এক সপ্তাহ পরে হলেও হলে গিয়ে সিনেমাগুলো দেখবো। ঈদের সিনেমাগুলো ব্যবসাসফল হোক এই প্রত্যাশা রইলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২২
এনএটি/জেআইএম