ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

সুবীর নন্দীকে হারানোর তিন বছর আজ

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২২
সুবীর নন্দীকে হারানোর তিন বছর আজ সুবীর নন্দী

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার তিন বছর পূর্ণ হলো। ২০১৯ সালের আজকের দিনে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার জীবনাবসান হয়।

দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে এই কিংবদন্তি গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।  

সুবীর নন্দীর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কত যে তোমাকে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’, ‘একটা ছিল সোনার কইন্যা’, ‘পিঁপড়া খাবে বড় লোকের ধন’, ‘নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে’, ‘তুমি এমনি জাল পেতেছো সংসারে’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’সহ আরও অনেক গান।  

সুবীর নন্দীর প্রস্থান বাংলা সুরের জগতে পূরণ হবার নয়। তার শূন্যতা সংগীতাঙ্গন অনুভব করলেও এই শিল্পীর কর্ম ভান্ডারের জনপ্রিয় সব গানের মাঝেই তিনি বেঁচে আছেন, থাকবেন আজীবন।

১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে, মেডিকেল অফিসার সুধাংশু নন্দী ও পুতুল রানী দম্পতির ঘরে সুবীর নন্দীর জন্ম হয়। মায়ের কাছেই ৭-৮ বছরে সংগীতের হাতেখড়ি হয় তার। পড়াশোনা শেষে দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরিও করেন সুবীর নন্দী। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ১৯৮১ সালে। তবে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।

আধুনিক সংগীতের পাশাপাশি তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন শাস্ত্রীয় সংগীত, ভজন, কীর্তন এবং পল্লীগীতিতেও। নিজের ভালোলাগার নজরুলসংগীতেও আবেশ ছড়িয়েছেন সুবীর নন্দী।  

চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে সুবীর নন্দী পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভূষিত হন একুশে পদকেও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।