ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

দর্শক না থাকায় বন্ধ হলো ‘তালাশ’র প্রদর্শনী!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
দর্শক না থাকায় বন্ধ হলো ‘তালাশ’র প্রদর্শনী!

ময়মনসিংহ: নির্মাতা সৈকত নাসির পরিচালিত ‘তালাশ’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর সামাজিকমাধ্যমে বেশ আলোচনায় আসে। কিন্তু সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর দর্শক টানতে পারেনি।

লোকসানের মুখে পড়ে হতাশায় ভুগছেন হল মালিকরা।

সারাদেশের সঙ্গে শুক্রবার (১৭ জুন) বেশ ঘটা করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রুমা সিনেমা হলে প্রদর্শন শুরু হয় আদর আজাদ ও শবনম ইয়াসমিন বুবলী অভিনীত ‘তালাশ’ সিনেমাটি।  

এরপর টানা দুই দিন সিনেমাটি প্রর্দশিত হলেও দর্শকদের সাঁড়া মেলেনি। ফলে টিকিট বিক্রি না হওয়ায় দু’দিনেই বেশ লোকসানের মুখে পড়ে যান হল মালিক। এতে পুঁজি হারানোর শঙ্কায় রোববার (১৯ জুন) ‘তালাশ’ সিনেমাটি প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছেন সিনোমা হলের কর্তৃপক্ষ।  

মুক্তাগাছার রুমা সিনেমা হলের মালিক মো: শফিকুল ইসলাম সরকার জানান, ১৭ জুন সিনেমাটি হলে প্রর্দশন শুরু করে দুইদিন চালিয়েছি। এতে সারাদিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র চারশো থেকে পাঁচশো টাকার। এই টাকা দিয়ে সিনেমা হলের ব্যায় বহন করা সম্ভব নয়। তাই গত রোববার  (১৯ জুন) থেকে তালাশ সিনেমাটি আমার হলে প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছি।      

এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আগে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প দিয়ে সিনেমা বানানো হত, অভিনেতারাও ছিল জনপ্রিয়। এখন গল্প ও অভিনেতা ভালো না হওয়ায় হলে দর্শক টানতে পারছে না সিনেমাগুলো।  

আগামী ঈদুল আযহা এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আমি এই ব্যবসা আর করব না। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেখি কি হয়- যোগ করেন তিনি।

একই অবস্থা ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী ছায়াবাণী সিনেমা হলের। গত ১৭ জুন থেকে এই সিনেমা হলেও ‘তালাশ’ সিনেমাটি প্রদর্শন হয়ে আসছে। কিন্তু এখানেও মিলছে না দর্শকদের সাড়া। এর ফলে প্রতিদিন হল চালাতে যে পরিমাণ খরচ হয়, সারাদিন শো চালিয়ে টিকিট বিক্রি করে সে খরচ উঠছে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট হলের ম্যানেজার মো. শহর উদ্দিন হাসান শাকিল।  

তিনি আরো জানান, আগে এক শো’তে যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হত, গত পাঁচ দিনেও ‘তালাশ’ সিনোমার টিকিট সে পরিমাণ বিক্রি হয়নি। এর কারণ হিসেবে তিনি ভালো গল্প ও জনপ্রিয় অভিনেতা সংকটকে দায়ী করেছেন।

মো. শহর উদ্দিন হাসান শাকিল বলেন, গত পাঁচ দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ। কিন্তু হলে দর্শক না থাকার কারণে এর পুরোটাই লোকসান বলে মনে করছি।

ছায়াবাণী সিনোমা হলের অপর কর্মচারী মোহন খান বলেন, এখন সবার হাতে মোবাইল। ইউটিউব, টিকটকে মানুষ সব পাচ্ছে। ফলে সিনেমা হলে এখন দর্শক আসতে চায় না। তবে সিনেমার গল্প এবং অভিনেতা ভালো হলে এখনও অনেক দর্শক এখনো হলে বসে সিনেমা দেখতে চায়। কিন্তু বর্তমানে সে রকম সিনেমা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।