ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

দ্বন্দ্বের অবসান, গল্প-গানের আড্ডায় আসিফ-ন্যানসি

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
দ্বন্দ্বের অবসান, গল্প-গানের আড্ডায় আসিফ-ন্যানসি আসিফ আকবরের সঙ্গে নাজমুন মুনিরা ন্যানসি


কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে নাজমুন মুনিরা ন্যানসির মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। যদিও দ্বন্দ্বের মূলে ছিল আসিফ-ন্যানসির গানের রয়্যালটি নিয়ে।

এর সূত্রপাত ২০১৮ সালের মাঝামাঝির দিকে।  

এরপর থেকেই আসিফ-ন্যানসি’র মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আসিফের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ন্যানসি।  

অবশেষে সেই দ্বন্দ্বের অবসান হলো। এমনটাই জানা গেছে, আসিফের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। ন্যানসির সঙ্গে একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

সেখানে আসিফ লেখেন, ‘একটা ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম চারটা বছর। অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত ফোন। হ্যালো বলতেই শুনলাম অনেক পছন্দের আদুরে কণ্ঠটি। ভাইয়া আমি ন্যানসি বলছি…খুব ভালো লাগলো ওর ফোনটা পেয়ে। দুনিয়ার সমস্ত অভিযোগ অভিমান আমার বিরুদ্ধে, শুনে আরও ভালো লাগছিল। ন্যানসি তো আমার ছোট। আমিতো বড়, তাহলে আমার মিনিমাম ভুলের ম্যাক্সিমাম শাস্তি হওয়া উচিত। ’

তিনি আরো লেখেন, ‘নাজমুন মুনিরা ন্যানসির কণ্ঠ আমাদের সম্পদ। আমাকে বললো, ভাইয়া আমি রাগ কমিয়ে ফেলেছি, আপনিও রাগ কমিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। অনেকদিন পর স্নেহের ন্যানসির সঙ্গে গল্প-গানের আড্ডায় নিজেকে হালকা করে ফেলেছি। ভালো থাকো ন্যানসি, আনন্দে বাঁচো। গান গেয়ে যাও। তোমার কণ্ঠ এ দেশের মানুষের একটা আনন্দময় ভাল লাগা, আমিও সেই দলের বাইরে নই। ভালবাসা অবিরাম…। ’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় আসিফের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ন্যানসি। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আসিফকে সেই মামলায় আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। এ কথাও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন আসিফ।

ওই মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, তার গাওয়া ১২টি গানের স্বত্ব অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন আসিফ। এ বিষয়ে ন্যানসি আপত্তি জানালে ক্ষুব্ধ হন আসিফ। সে কারণে বিভিন্ন সময়ে ইউটিউব ও টিভি চ্যানেলে ন্যানসির বিরুদ্ধে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেন আসিফ। এরপরই মামলা ঠুকে দেন। সে মামলায় ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পান আসিফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
এনএটি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।