ঢাকা: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
আপস-মীমাংসা হয়েছে জানিয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নারগিস সুলতানা গত ২৮ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আজ সেই আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলায় হাওয়া সিনেমায় শালিক নিয়ে বিতর্কিত দৃশ্য দেখানোর অভিযোগ আনা হয়। ওই দৃশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাণীর নিরাপত্তা বিপন্নের আশঙ্কা তৈরি হয়।
এর আগে সিনেমাটির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। আইন লঙ্ঘন হওয়ায় ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন বন্ধের দাবি করে পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমা হলে গিয়ে ‘হাওয়া’ দেখে আসে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
গত ১১ আগস্ট রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে দুপুর ২টার শোতে সিনেমাটি দেখেন ইউনিটের সদস্যরা। সিনেমা দেখা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বন অধিদফতরের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক বলেন, ‘সিনেমাটি আমরা দেখেছি। এখানে একটি শালিক পাখি দেখানো হয়েছে। কিন্তু যেটা খাওয়া হয়েছে, সেটি আসলে শালিক পাখির মাংস কিনা, তার তদন্ত প্রতিবেদন অধিদফতরে পাঠাব। এটি সত্যিকারের পাখি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন এখানে লঙ্ঘন হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
কেআই/কেএআর