খুলনা: ‘দেশে প্রতিবছর চার লাখ মানুষকে সাপে কাটে। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার মানুষ মারা যায়।
বন্যপ্রাণী এবং সাপ বিষয়ে গবেষক আবু সাঈদ ‘সর্প দংশন, প্রতিকার ও চিকিৎসাবিষয়ক প্রশিক্ষণ’ কর্মশালায় প্রশিক্ষকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের আয়োজনে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. আবু নাসের মোহসিন হেসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাপ হাতে বা পায়ে কামড়ালে আমরা সাধারণত আক্রান্ত অংশের ওপরে রশি বা গামছা দিয়ে টাইট করে বেঁধে রাখি। এটা একেবারেই ভুল প্রাথমিক চিকিৎসা। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অজ্ঞতা দূর করে মানুষকে সচেতন করা গেলেই সাপের কামড়ে আক্রান্ত মানুষকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে। সব সাপ বিষধর নয়। তাছাড়া বেশির ভাগ সাপ কেউ উত্ত্যক্ত না করলে সহসা কামড় বসায় না। সাপকে কোন ক্রমে মেরে ফেলা যাবে না। মনে রাখতে হবে সাপ আমাদের সম্পদ।
কর্মশালায় আবু সাঈদ জানান, সর্প দংশন করলে ৬১ শতাংশ লোক ওঝার কাছে যায়। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল। সর্প দংশন করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। রাতে চলাফেরা করার সময় অবশ্যই টর্চ-লাইট ব্যবহার করতে হবে। সাপে কামড়ালে আক্রান্ত স্থান কাটা, দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা, আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা যাবে না। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। খাটের ওপর মশারি ব্যবহার করে ঘুমাতে হবে, মেঝেতে ঘুমাবেন না। ঘাসের মধ্যে কিংবা ঝোপঝাড়ের ভেতর হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে। লম্বা জুতা বা বুট পরা ভালো। সাপ কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ সময় আক্রান্ত ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করতে হবে, ভয়ের কিছু নেই। এর চিকিৎসা রয়েছে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বনবিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ৪০ জন অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এমআরএম/এএটি