সাতক্ষীরা: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত সাতক্ষীরার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার সুরক্ষায় মেগা প্রকল্পের আওতায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।
এতে উপকূলীয় এ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে বইছে স্বস্তির বাতাস।
কিন্তু এর উল্টো চিত্র বিরাজ করছে নদীর পাড়ে। সেখানকার হাজারো পরিবারের দিন কাটছে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারাবার ভয়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা, চাঁদনীমুখা, হরিশখালি ও ডুমুরিয়াসহ বেশ কিছু এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে বসবাস করা হাজারো পরিবারকে ঘরবাড়ি ভেঙে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। আশ্রয় হারানোর ভয়ে পরিবারগুলোতে পড়েছে কান্নার রোল। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবে, সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো।
গাবুরার ৯ নম্বর সোরা ও চাঁদনীমুখা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীদের অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিচ্ছেন। শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সেখানে বিরাজ করছে এক নিষ্ঠুর নীরবতা।
তারা বলেন, বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। তাই বেড়িবাঁধের কোলে ঘর বেঁধে জীবন কাটছে। এভাবেই কেটেছে দুই প্রজন্ম। হঠাৎ ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি সবাই। এখন সবাই গৃহহারা। ছোট ছোট বাচ্চাসহ পরিবার নিয়ে কোথায় থাকব?
৯ নম্বর সোরা গ্রামের ইয়াকুব শেখ বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে এ বাঁধের পাশে আছি। এখন ঘর ভেঙে নিতে হচ্ছে, এখন কোথায় যাব? নেই বাড়তি জমিজমা।
৯ নম্বর সোরার চরে একটা গুচ্ছগ্রাম করে দিলে আমাদের ঠাঁই হতো।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, ৯ নম্বর সোরা নদীর চরে হাজার হাজার বিঘা খাস জমি পড়ে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গাবুরার বাস্তুচ্যুত মানুষের কথা মাথায় রেখে একটি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে দিলে মানুষগুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
এসআই