মৌলভীবাজার: সম্প্রতি একটি বিশেষ প্রজাতির বড় আকৃতির শোভাবর্ধনকারী ফুলের গাছ কেটে ফেলেছেন মৌলভীবাজারের বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন মৌলভীবাজারের উপ-বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয়ে চলছে উন্নয়নমূলক কাজ।
কেটে ফেলা এ গাছটি ছিল ‘সোনালু’ ফুলের গাছ। এটি শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ। সবুজ পাতাদের ছাপিয়ে সোনালি রঙের ফুলে ফুলে এক সময় সেজে উঠতো গাছের চারপাশ। তখন প্রকৃতির অপরূপ এক সৌন্দর্য ফুটে উঠতো। সোনালি রঙের ফুল হওয়ার কারণেই এ গাছের নামকরণ হয়েছে ‘সোনালু’।
আসন্ন গ্রীষ্ম ঋতুতে এই গাছটিতে ফুল আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে প্রকৃতি থেকে মুছে করে ফেলা হলো তাকে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপ-বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয়ের ডান দিকে মসজিদের সম্মুখভাগে সোনালু গাছটির গোড়ার অংশটি পড়ে রয়েছে। বন অফিসের পাশেই চা বাগানের শ্রমিক লাইন। এখানে কিছুদিন আগেও এ গাছটি নিজের সৌন্দর্য বিস্তার করে দাঁড়িয়ে ছিল। গাছের কাটা অংশগুলো গাড়ি রাখার ছাউনির পাশে স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে।
নিসর্গপ্রেমী শামসুল হক বলেন, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের নামে এমন সুন্দর সোনালু ফুলের গাছটিকে কেটে ফেলা মোটেই ঠিক হয়নি। এ গাছটিকে রেখেও এই পাশে সীমানাপ্রাচীরটি তৈরি করা অসম্ভব হতো না। শোভাবর্ধনকারী এই গাছটি পুরোপুরি না কেটে কিছু ডালপালা হয়ত ছাঁটাই করে দিতে পারতো। বিষয়টি শুধু মানসিকতার ব্যাপার। এভাবেই কারো না কারো উদাসীনতা এবং অবহেলায় আমাদের প্রকৃতি থেকে অক্সিজেনের এরূপ উৎসগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেট বন বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জের উপ-বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (এসিএফ) মোহাম্মদ নাজমুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কিছু ঝুঁকিপূর্ণ গাছ প্রধান বন সংরক্ষক মহোদয়ের অনুমতিক্রমে কেটে টেন্ডার করা হয়েছে। আর এই গাছগুলো চা বাগানের শ্রমিক লাইনের সীমানায় থাকায় তাদেরও দাবি ছিল কেটে ফেলার। এই টেন্ডার করা গাছগুলোর মধ্যে হয়ত এই সোনালু গাছটি থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
বিবিবি/এসএএইচ