হবিগঞ্জ: দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় শিলাসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে অসহ্য গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ক্ষতি হয়েছে হাওরের পাক ধরা বোরো ধান ও ভুট্টার।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী নারায়ণ চন্দ্র দাশ বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে শিলাবৃষ্টি হয়। কৃষকরা বৃষ্টির পর জমিতে ছুটে যাচ্ছিলেন, ধান আর ভুট্টার অবস্থা দেখতে।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মঈন উদ্দিন আহমেদ মাহি জানান, আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পাক ধরা বোরো ধান শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়ে গেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গন্ধা, হালিতলা, আক্রমপুর, চরগাঁও, রাজাবাদ, লহরজপুর ও সালামতপুরের হাওরে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
এতে প্রায় ২৫ হেক্টর জমির বোরো ধান আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মৌসুমি চাষিদের ভুট্টাও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক বনি আমিন জানান, হবিগঞ্জ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এক লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধান চাষ হয়েছে। জেলাজুড়ে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এবার হবিগঞ্জে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার ৬৬৫ টন। এ বছর ধানের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকার বেশি হতে পারে। সে হিসেবে দেড় হাজার কোটি টাকার ধান গোলায় ওঠার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এসআই