পাথরঘাটা (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপকূলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি, মৎস্য, গাছপালার ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মাছ ধরা ট্রলারেরও।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে ব্যাপক প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষতি হলেও তুলনামূলক রিমালে ক্ষতি বেশি হয়েছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে আরও অনেক বেশি ট্রলার বিধ্বস্ত হতো।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিষখালী ও বলেশ্বর নদে নোঙর করে রাখা ছোট ছোট মাছ ধরা শতাধিক ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিষখালীর ছোনবুনিয়া এলাকায় নোঙর করে রাখা ২৫টি ছোট ছোট ট্রলার পানির চাপে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। প্রতি ট্রলারেই জাল ছিল। এছাড়া গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরা বড় খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন এফবি লিমা ট্রলারটিও সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
জেলে জামাল হোসেন, বাবুল হোসেন বলেন, রিমালের আগের দিনই ঘাটে ট্রলার নোঙর করে রেখেছিলাম। রাতে পানির তোড়ে আমাদের ট্রলারগুলো দুমড়ে মুচড়ে গেছে। অনেক ট্রলার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। একমাত্র উপার্জনের পথ ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বিষখালী ও বলেশ্বরে থাকা প্রায় শতাধিক ছোট মাছ ধরা ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে জেলে পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এসআই