ঢাকা: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় জীব বৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে; বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে দেখছে।
বুধবার ভারতের হায়দ্রাবাদে চলমান জাতিসংঘ জীব বৈচিত্র্য বিষয়ক সম্মেলনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দানকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে কনভেনশান অন বায়োডাইভার্সিটি (সিবিডি) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ২০১১ সালে সংবিধানের সংশোধনীতে পরিবেশ বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ‘ন্যাশনাল বায়োডাইভার্সিটি স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশান প্ল্যান এবং ন্যাশনাল বায়োসেফটি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রণয়নের মাধ্যমে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
মন্ত্রী জানান, আধুনিক প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে বিশ্বের জীব বৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখোমুখি। জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা না গেলে বিশ্বের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলা ও জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য বাংলাদেশ যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বা গ্রিন টেকনোলোজিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
জনগণের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ধনী ও উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকল দেশের কার্যকর ভূমিকা কামনা করে তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য হচ্ছে পৃথিবীকে রক্ষা করার একটি কবচ। জীববৈচিত্র্য রক্ষা পেলেই পৃথিবী আরো বেশি দিন বসবাসযোগ্য থাকবে বলে মন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন।
এর আগে ড. হাছান মাহমুদ নরওয়ের পরিবেশ মন্ত্রী বার্ড বেগার সলিহিল (Bard Vegar Solhiell) এবং ফিনল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যাটারিনা পোসকিপার্তার (Katariina Poskiparta) সঙ্গে আসন্ন দোহা সম্মেলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘন্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১২
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর; আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর