ঢাকা, বুধবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মিথেন নির্গমন কমাতে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে। বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে বাংলাদেশকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশের এনডিসি ২০২১ পর্যালোচনা: বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসন কৌশল সংযোজন’ শীর্ষক অনলাইন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।

দেশের অপরিকল্পিত ও অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা এখনো জাতীয় পর্যায়ে কার্যকরভাবে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করি না। কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প থাকলেও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোবদ্ধ নয়।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের শহরাঞ্চলের বড় ল্যান্ডফিলগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হলেও সেগুলো পরিবেশগতভাবে সনদপ্রাপ্ত নয় এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর বাইরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করছে।  

এক স্থানীয় সরকার সংস্থাকে জাতীয় উদ্যানের সামনে বর্জ্য না ফেলতে অনুরোধ করার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা স্পষ্ট করে। এখনই সময় মূল কাঠামোগত সংস্কারের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্জ্যে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ইনসিনারেশন কার্যকর সমাধান নয়। আমাদের আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের মতো ল্যান্ডফিলের জন্য স্থানভিত্তিক টেকসই সমাধান প্রয়োজন।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, ইএসডিও সভাপতি সৈয়দ মারগুব মুরশেদ এবং ইএসডিওর প্রধান নির্বাহী ও নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা।

এ কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা একত্রিত হয়ে বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসনের বাস্তবসম্মত কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসকে/জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।