আমাজন লিলির নাম সবারই জানা। ফুলের চেয়ে পাতার কারণেই বেশি পরিচিত আমাজন লিলি।
আমাজন লিলি বা আমাজন পদ্ম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পদ্ম। এর পাতাও অনেক বড়। আমাজন লিলির পাতা দেখতে থালার মতো। আর পাতাগুলো এতই মজবুত যে একটা শিশু অনায়াসে পাতার উপর বসে থাকতে পারে।
আমাজন লিলিকে বাংলায় আমাজন পদ্ম বলে ডাকা হলেও আসলে এটি ওয়াটার লিলির একটি প্রজাতি।
আমাজন পদ্মকে ইংরেজিতে ডাকা হয় আমাজন ওয়াটার লিলি বলে।
বৈজ্ঞানিক নাম Victoria Amazonica। রানী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে ভিক্টোরিয়া রয়েছে ফুলটির নামের ভেতর।
আমাজন লিলি মূলত আমাজন জঙ্গলের উদ্ভিদ হওয়ার কারণে নামের শেষে যুক্ত হয়েছে “আমাজোনিকা” শব্দটি। পরিবার Nymphaeaceae।
আমাজন লিলির বৈজ্ঞানিক নামই দেয় তার পরিচয়। রানী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে রাখা হয়েছে ফুলটির নামের একটি অংশ। সত্যিই জলের রানী আমাজন লিলি।
আমাজন লিলি দেখতে অনেকটাই আমাদের পরিচিত পদ্ম ফুলের মতো। বাইরের অংশ সবুজাভ, পাপড়ির ভেতরটা স্নিগ্ধ সাদা এবং গোলাপি। ঠিক মাঝে রয়েছে গর্ভকেশর।
পদ্মফুল যেমন ওঠে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে, আমাজন পদ্মও একই সময়ে ওঠে। সূর্যের সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক।
সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সে ওঠা এবং সূর্য ডোবার সময়ে নিভে যায়।
ফোটার পর প্রথম রাতে ফুলের রং সাদা হলেও দ্বিতীয় রাতে তা গোলাপি রং ধারণ করে।
ফুলের ব্যাসার্ধ ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। একটি ফুল ৬-৭ দিন পর্যন্ত থাকে।
আমাজন লিলির পাতার নিচে অসংখ্য তীক্ষ্ণ ও সরু কাঁটা থাকে। পাতা ও ফুলের মৃণালেও কাঁটার উপস্থিতি রয়েছে। তবে সেগুলো খুব বেশি সরু বা তীক্ষ্ণ নয়। অসাবধানে আমাজন লিলির পাতা ধরলে কাঁটার খোঁচা সহ্য করতে হবে।
পাতার নিচের দিকে অনেক শিরা রয়েছে। উপরের অংশ টলটলে সবুজ। নতুন পাতা পানির নিচ থেকে গজায়। পানির উপর ভেসে উঠে ফুলের মতো আস্তে আস্তে মেলতে মেলতে ছোট থেকে বড় হয়।
সাধারণ পদ্মের মতো কন্দ থেকে জন্মে না আমাজন লিলি। এর চারা করতে হয়।
আমাজন লিলি অত্যন্ত সুন্দর মিষ্টি একটি ফুল। তার সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মনোমুগ্ধকর রূপ নিয়ে সূর্যের হাসির সাথে হেসে ওঠে আমাজন লিলি, হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকে বারবার।
বাংলাদেশ সময় ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৩
এএ/এমজেডআর