বরগুনা: বরগুনায় উদ্ধার হওয়া অজগরটি জেলার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে ১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বনরক্ষীদের নিয়ে অজগরটি অবমুক্ত করেন।
এসময় টেংরাগিরি বনের বিট কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বাংলানিউজকে বলেন, বন্যপ্রাণী ধ্বংসের কারণে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বন্যপ্রাণী রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। জেলা পুলিশের উদ্যোগে অজগরটি উদ্ধার করে বন বিভাগের সহযোগিতায় টেংরাগিরি সকিনা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
টেংরাগিরি সকিনা বনের বিট কর্মকর্তা সজীব কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, এই অজগর লোকালয়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে, এ ধরনের অজগর একটা নিজস্ব বলয়ে বসবাস এবং চলা ফেরা করে থাকে। ওই বলয়ে মানুষের অবাধ বিচরণের কারণে এরা বিরক্ত হয়ে পথ হারায়। এছাড়াও খাদ্যের অভাবে এসব প্রাণী তাদের বলয় ছেড়ে অনেক সময়ে লোকালয়ে চলে আসে।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে বরগুনার তালতলী উপজেলার বিভিন্ন লোকালয় থেকে আরও চারটি অজগর উদ্ধার করে টেংরাগিরি সকিনা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। টেংরাগিরি বনে ইতোপূর্বে বড় ধরনের অজগরকে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বের হতে দেখা গেছে। বনের একটি অংশে বেশ কিছু অজগরের অবাধ বিচরণ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে বরগুনা পৌর শহরতলীর বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়ির একটি বাগানের গাছ থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়। এটির ওজন আনুমানিক ৯ কেজি এবং লম্বায় ৭/৮ ফুট।
বরগুনা জেলা জজ কোর্টের নাজির আ. সালাম বাদল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তার বাড়ির বাগানে একটি গাব গাছের মাথায় অজগরটি দেখতে পায় পথচারীরা। এরপর ওই গ্রামের সাপুড়ে নওশের আলীকে খবর দেয় স্থানীয়রা। নওশের আলী গিয়ে অজগরটি উদ্ধার করে।
নওশের আলী বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের অজগর এরকম জনবহুল এলাকায় প্রবেশ করার কথা নয়। মনে হচ্ছে, ওই এলাকায় এর বংশধর আরও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৬
এনটি/পিসি