ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিরল মাংসাশী প্রাণী ‘মাঝারি পাতানাক বাদুড়’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৬
বিরল মাংসাশী প্রাণী ‘মাঝারি পাতানাক বাদুড়’ ছবি: তানিয়া খান

মৌলভীবাজার: বিকেলের আলো নিভে এলেই এরা গা-ঝারা দিয়ে ওঠে। চারদিকে সন্ধ্যা মিলিয়ে যেতেই খাবারের সন্ধানে বাতাসে ডানা মেলে।

মাংস খেতে ভালোবাসে বলে তাজা শিকার ধরার আশায় আশ্রয় নেয় নির্জন সেতুর নিচে।

বিরল প্রজাতির এ বাদুড়টির নাম ‘মাঝারি পাতানাক বাদুড়’। ইংরেজি নাম Intermediate leaf nosed bat এবং বৈজ্ঞানিক নাম Hipposideros larvatus।

এরা পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে থাকে। দিনের বেলা গাছের খোড়লে বা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেয়। দৈর্ঘ্যে প্রায় দশ সেন্টিমিটার ও ওজন মাত্র ১৭ থেকে ২৪ গ্রাম হয় এ প্রাণীর।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বন্যপ্রাণী গবেষক ড. মনিরুল খান বাংলানিউজকে বলেন, টেকনাফের কুটুমগুহা, শেরপুরের সীমান্তবর্তী গজনী শালবন এবং মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এ বাদুড়কে দেখেছি।

‘আমার ধারণা, বনাঞ্চল বা তার আশেপাশেই এরা বসবাস করে। আর এসব তিন স্থানই বনাঞ্চল সংলগ্ন। পাহাড়ি এলাকায় মোটামুটি অবস্থানে রয়েছে প্রাণীটি। ’

নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে এদের প্রচলিত কোনো বাংলা নাম নেই। বেশির ভাগই ইংরেজি নাম থেকে অনুবাদ করা। সে হিসেবে এর নাম দাঁড়ায় ‘মাঝারি পাতানাক বাদুড়’।

এর খাবার সম্পর্কে ড. মনিরুল বলেন, বাদুড় শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে শিকারের সন্ধান চালায়। মাঝারি পাতানাক বাদুড় একটু মাংসাশী ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। যে কারণে ওরা রাতের বেলায় কালভার্টগুলোর (ছোট সেতু) নিচে চুপ করে বসে থাকে।

‘আমি লাউয়াছড়ায় দেখেছি এরা সেতুর নিচে অবস্থান করে এবং ‘ছো’ মেরে ব্যাঙ, ছড়ায় পানিতে ঘুরে বেড়ানো চিংড়ি ধরে খায়। গজনীতে দেখলাম ওদের মুখের মধ্যে ব্যাঙ ও নিচে ব্যাঙের পা পড়েছিলো। ’

এদিকে ২০১৩ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে এ বাদুড়ের ছবিগুলো তুলেছিলেন বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী ও গবেষক তানিয়া খান।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমি এদের লাউয়াছড়াতে দেখেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
বিবিবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।