স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের আনোয়ারুল হক ডাক্তার বাড়ির বাগানে বাঘটি দেখে স্থানীয় মনির হোসেনসহ কয়েকজন মিলে কৌশলে সেটিকে ধরে খাঁচায় বন্দি করে রাখেন।
এদিকে, প্রাণীটিকে দেখতে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
মেছো বাঘটির উচ্চতা প্রায় দেড় ফুট, লম্বায় চার ফুট। গায়ে কালো-হলুদ ডোরাকাটা দাগ। মুখ অনেকটা বিড়ালের মতো, গায়ের রং ধূসর।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের প্রাণী সাধারণত লোকালয়ে আসে না। বাঘটি খাবারের খোঁজে কিংবা দলচ্যুত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে লোকালয়ে ঢুকে থাকতে পারে। সংরক্ষণের ব্যাপারে বনবিভাগ কিংবা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে স্থানীয়দের পরামর্শ দেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে বনবিভাগের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাঘটি আটক হওয়ার চারদিন পার হলে প্রাণীটি সংরক্ষণের ব্যাপারে কেউ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের ডেকে বাঘটিকে সংরক্ষণ করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
আরবি/আরএ