শিকার দৃশ্যমান হলেই আর রক্ষে নেই! উপরের উড্ডয়ন অবস্থা থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নিচে নেমে শিকারকে ছোঁ-মেরে গ্রাস করতে বিলম্ব হয় না। সুদক্ষ তীক্ষ্ম নখ আর ঠোঁট তাদের বিশ্বস্ত হাতিয়ার।
শীত মৌসুমের বিরল পরিযায়ী পাখি এই ‘কালো বাজ’। কেউ কেউ আবার ‘কালা বাজ’ও বলে। এদের ইংরেজি নাম Black Baza এবং বৈজ্ঞানিক নামAviceda leuphotes। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিকে এখনো সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়নি।
লম্বা, খাড়া ও কালো ঝুঁটি দিয়ে এদের সহজে চেনা যায়। এরা আকারে প্রায় কাকের সমান। ৩৩ সেন্টিমিটার। এদের দেহ নীলচে-কালো। বুকের মাঝে রয়েছে সারি সারি লালচে ডোরা। কর্কশ গলায় জোরে জোরে ডাকে ‘চিউয়্যা...’।
বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী সাঈদ বিন জামাল বাংলানিউজকে বলেন, এরা বাংলাদেশের বিরল পরিযায়ী পাখি। সচরাচর একা, জোড়া বা ছোট দলে থাকে। বিশেষত শীতে চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। এপ্রিল-জুলাই থেকে প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। তখন ভূমি থেকে ১৮-২১ মিটার উঁচুতে হালকা ডালপালার সাহায্যে মাচা বানিয়ে ঘাস ও আঁশ বিছিয়ে ২-৩টি ডিম পাড়ে।
তিনি আরও বলেন, এরা সুদর্শন শিকারী পাখি। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে টিকটিকি, ব্যাঙ, বড় ঘাস ফড়িং, বড় পোকা, গিরগিটি, ছোট পাখি, বাদুড় প্রভৃতি। বন ধ্বংসের কারণে এরা অত্যন্ত বিপদগ্রস্ত। এখন সহজে দেখা পাওয়া যায় না।
বিগত ডিসেম্বর মাসে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কালো বাজের এগুলো তুলেছেন বলে জানান সাঈদ বিন জামাল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
বিবিবি/পিসি