সন্ধ্যে বেলাতেও তাই। রাত্রির দীর্ঘ বিশ্রামের আগে কিছুক্ষণের উড়াউড়িতে চলে শেষ পর্যায়ের খাদ্যখোঁজার পালা।
যেন সকাল-সন্ধ্যার পথিক তারা। ওই দুটো সময়ই বড় ব্যস্ততামুখর। বনের মর্মরে সবুজপাতাদের চারপাশে এই পতঙ্গরাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর তখন। বন তাতে তার নিজস্ব গতি খুঁজে পায়। সুস্থতায় ভরে ওঠে কীটপতঙ্গ আর পাখির এমন ডানা মেলায়।
প্রজাপতি গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী বাংলানিউজকে বলেন, এর ইংরেজি নাম ‘স্মল গ্রিন আওলেট’। বৈজ্ঞানিক নাম Burara amara। প্রচলিত বাংলা নাম নেই। ‘হেস্পিরিডি’ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এই প্রজাপতিটির ডানার ব্যাপ্তি প্রায় ৪৫-৫০ মিলিমিটার। বাংলাদেশে Burara গণের অন্তর্ভুক্ত আরও ৪ ধরনের আওলেট প্রজাপতি পাওয়া।
পৃথক প্রজাতির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, Burara gomata (পেল গ্রিন আওলেট), Burara harisa (হারিসা অরেঞ্জ আওলেট), Burara jaina (অরেঞ্জ আওলেট) ও Burara oedipodea (ব্যান্ডেড অরেঞ্জ আওলেট)।
শারীরিক রঙ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রজাপতিটির পুরুষ ও মেয়ে উভয়েরই ডানার নিচের রঙ বাদামীর সঙ্গে ধূসরাভ নীল ডোরা। উদরের রঙ কালো-বাদামী এর মধ্যে ধূসরাভ ডোরা। বক্ষ উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের।
এর প্রাপ্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, স্মল গ্রিন আওলেট আমাদের দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। তবে বেশ বিরল এই প্রজাপতিটি খুব সকালে এবং সন্ধ্যার সময় একটু অন্ধকারাছন্ন জায়গায় বেশি দেখা যায়। এরা হাল্কা আদ্র বা ভেজা ছড়া (দুই পাহাড়ের মাঝে পানির প্রবাহের পথ) বালুতে, ভেজা কাগজ বা টিস্যু, প্রাণির মল, পচা বস্তু হতে খনিজ পদার্থ আহরণ করে। এরা সাধারণত পাতার নিচে বসে ও বিশ্রাম নেয়।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এর লাল তালিকা-২০১৫ তে স্মল গ্রিন আওলেট-কে বাংলাদেশে বিপন্ন (EN) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান প্রজাপতি গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯,২০১৭
বিবিবি/বিএস