দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত এ বনে মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহনের অবাধ যাতায়াত ছিল। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাসিয়া, বিভিন্ন লেবু ব্যবসায়ী এবং সর্বসাধারণের অবাধ প্রবেশে লাউয়াছড়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে আসছিল।
লাউয়াছড়ার সুরক্ষা নিশ্চিতে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রধান ফটক নির্মাণ করছে।
প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়েছে নির্মাণ কাজ। চলবে দু’মাস।
এ মনোমুগ্ধকর ফটকটি নির্মাণ করছেন ময়মনসিংহের ভাস্কর্যশিল্পী শফিকুর ফেরদৌস।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটি আরসিসি গেট। সিমেন্ট, লোহা ও স্টিলে দিয়ে নির্মিত হচ্ছে গেটের বিভিন্ন অংশ। এখানে থাকবে বৃক্ষ এবং জীবজন্তুর নকশা করা প্রতিকৃতি।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষণে এলাকার ঐতিহ্য তুলে ধরে লাউয়াছড়ায় প্রধান ফটক নির্মিত হচ্ছে। ওপরে একপাশে থাকবে লাউয়াছড়ার প্রাণ ‘উল্লুক’ ও অন্যপাশে ‘অজগর’ এর প্রতিকৃতি। গেটের উচ্চতা সাড়ে ১২ ফুট ও প্রস্থ ১৩ ফুট।
ওপরে একটি বিশালাকৃতির পাতার ছাউনি দেওয়া হবে এবং রক্তন বা চাপালিশ গাছের মোথার মতো করে দু’পাশে গেটের দু’টি বিশাল খুঁটি নির্মাণ করা হবে বলেও জানান এসিএফ তবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এএসআর