তবে দু’মুখো সাপ নিয়ে যতই মাতামাতি হোক সে কিন্তু বিতর্কিত বা ক্ষতিকর প্রাণী নয়। অত্যন্ত নিরীহ এক প্রকারের সরীসৃপ।
কোনো প্রাণীর প্রচলিত নামের সঙ্গে মিল রেখে বাংলা অভিধানে এমন বিশেষণজনিত মনগড়া শব্দটির প্রয়োগ কখনই ভাষার যুক্তিসিদ্ধ ব্যবহার হতে পারে না।
বনের পথে যেতে যেতে কতদিন কতবার যে এ সরীসৃপটির সঙ্গে দেখা হয়েছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। তবে সহসাই যে চোখে পড়ে এমন নয়। অরণ্য ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তে সজাগ দৃষ্টি রাখলে তবেই নানা ধরনের ছোট-বড় প্রাণিকূলের সঙ্গে তাৎক্ষণিক দেখা হয়ে যায়। হৃদয়ের ভালোবাসা দৃষ্টিধারার ভেতর দিতে তাদের প্রতি ধাবিত হতে থাকে।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, দু’মুখো সাপের ইংরেজি নাম Diard’s Blind Snake। এদের দেহ নলাকার। এরা দৈর্ঘ্যে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ সেন্টিমিটার হয়।
শারীরিক বর্ণনা প্রসঙ্গে তানিয়া বলেন, দেহের পেছনের অংশ বাদামি থেকে কালচে রঙের। দেহের তলদেশ হালকা সাদাটে। লেজের শেষপ্রান্তে কাটা থাকে। এছাড়াও তাদের দেহে আড়াআড়ি সারিতে আঁইশ রয়েছে। এদের খাদ্যতালিকায় নরম দেহবিশেষ বিভিন্ন পতঙ্গ, উইপোকার ডিম এবং গলিত লার্ভা। মার্চ থেকে জুন এদের প্রজনন মৌসুম।
মাটির আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে এদের জীবনাচারণ বলে জানান তানিয়া।
এরা মাটির নিচে বসবাস করে। বিশেষ করে পিঁপড়ে বা উইপোকার আশপাশে। এদের ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে জঙ্গল, ফুলের বাগান কিংবা ফসলি ক্ষেতের ভেজা মাটি বা এর আশপাশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত বলে জানান বন্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৭
বিবিবি/এএ