সোমবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ওই গ্রামের মুদি দোকানি আবু জাফর মোল্লার বসতঘর থেকে সাপ ও ডিমের খোসাগুলি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সাপ আতঙ্কে ওই ঘর ছেড়ে অন্য ঘরে বসবাস করছে পরিবারটি।
জাফর মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, মার্চ মাসে আমার বাড়ির চারচালা একটি ঘরের ডোয়ার (ঘরের মেঝের অংশ) ভেতর থেকে একটি বড় গোখরা সাপ দেখতে পেয়ে মেরে ফেলি। এরপর চলতি বছরের ১১ রোজার দিন আবারও একটি সাপ দেখে সেটিও মেরে ফেলি। ওই সময় আমরা সাপ আতঙ্কে ওই ঘর ছেড়ে অন্য একটি ঘরে বসবাস শুরু করি। ঈদের দুইদিন আগে আমরা ফের ওই ঘরটি মাটি দিয়ে ভাল করে লেপে সেখানে উঠি।
বুধবার (৫ জুলাই) আমার নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ঘরের মধ্যে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পায়। আতঙ্কে আমরা আবারও ওই ঘর ছেড়ে অন্য ঘরে উঠি। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে আমার স্ত্রী ওই ঘরে মরিচের বস্তা আনতে গেলে একটি সাপ তাকে ছোবল দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়ায় সে প্রাণে বেঁচে যায়।
ওইদিনই ওই ঘর থেকে চারটি গোখরা সাপের বাচ্চা মারা হয়। সোমবার (১০ জুলাই) সকালে সাপুড়েকে খবর দিলে তারা এসে বিকেল পর্যন্ত ঘরের মেঝে খুঁড়ে ছয়টি তাজা গোখরা ও ২৪টি সাপের ডিমের খোসা উদ্ধার করেন।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ঘরের মধ্যে আরও অনেক সাপ রয়েছে। যে কারণে আমরা ওই ঘরটি ছেড়ে অন্য ঘরে বসবাস করছি। ঘরটি ভেঙে নতুন করে ওঠানোর পরিকল্পনাও করেছি।
সাপুড়ে মো. মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, ওই ঘরের মাটি খুঁড়ে ছয়টি বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা ও ২৪টি ডিমের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক খোসা মাটির নিচে রয়েছে। তবে মা সাপটিকে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত সেটিকে আগেই মেরে ফেলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সাপের বাচ্চাগুলো পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ১০ জুলাই, ২০১৭
আরএ