বুধবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ১২টার দিকে দেখা যায়, রাজলক্ষ্মীর নড়াচড়া বেড়েছে। লেজ, মাথা নাড়ছে।
হাতিটির মালিক মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আগের তুলনায় অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো ঘন ঘন স্যালাইন, ব্যাথানাশক ইঞ্জেকশন, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ফলে রাজলক্ষ্মীর নড়াচড়া বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, কাজল খান নামের এক সার্কাসের ঠিকাদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রাকযোগে রাজলক্ষ্মীকে শ্রীমঙ্গল নিয়ে আসেন। পরে ট্রাক থেকে নামাতে গিয়ে আহত হয় রাজলক্ষ্মী। অবহেলায় নামাতে গিয়ে সে ডানপায়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখন অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে আরো ধৈর্য ধরে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে ৪/৫ দিন ধরে একপাশে কাত হয়ে শুয়েছিল রাজলক্ষ্মী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হাতিটির পাশ ফেরানোর কথা বারবার বলে আসছিলেন। অবশেষে অপর একটি হাতি দিয়ে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রাজলক্ষ্মীকে পাশ ফেরানো হয়।
হাতির এসব সেবা-শুশ্রুষার জন্য প্রতি মুহূর্তে হাজার টাকার প্রয়োজন। এরইমধ্যে বহু টাকা খরচ হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বা সমাজের বিত্তশালী কেউ আর্থিকভাবে সাহায্য করলে আমার বড়ই উপকার হতো বলে জানান হাতিটির মালিক মো. সিরাজুল ইসলাম।
সুস্থ হয়ে উঠবে তো ‘রাজলক্ষ্মী’?
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জেডএস