এ প্রজাতির একটি পূর্ণবয়স্ক ইঁদুর দৈর্ঘ্যে ১৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এরা মূলত গাছে থাকতেই ভালোবাসে।
গবেষক টেরন লাভেরি বলেন, আমরা সলোমান দ্বীপপুঞ্জের ভাংগুনু দ্বীপের অধিবাসীদের মুখে প্রথম এই গাছে চড়ে বেড়ানো ইঁদুর সম্পর্কে জানতে পারি। স্থানীয়রা এদের ভিকা নামে ডাকতো। কিন্তু ২০১০ সালে অনেক খোঁজার পরও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ আমরা পাইনি।
২০১৫ সালে একজন রেঞ্জার দেখেন, একটা ইঁদুর ১০ মিটার উঁচু একটা গাছের ডাল থেকে নিচে গড়িয়ে পড়ছে। নিচে পড়ার ফলে ইঁদুরটি মরে যায়। অতঃপর ইঁদুরের মৃতদেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়ামে। সেখানে গবেষণা কাজে নিয়োজিত ছিলেন ডক্টর টেরন লাভেরি। ডিএনএ টেস্টের পর নতুন প্রজাতির ইঁদুর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এদের লেজ লম্বা ও আঁশযুক্ত। গবেষকরা মনে করেন, লম্বা লেজের সাহায্যে এ ইঁদুরগুলো সহজে গাছে গাছে বেড়াতে পারে। ধারালো দাঁতের সাহায্যে বাদাম ও নারকেলজাতীয় ফল খায় এরা।
গবেষকরা মনে করছেন, এ প্রজাতির ইঁদুর প্রায় বিলুপ্তির পথে। এরা সাধারণত গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। ওদিকে দ্বীপের অধিকাংশ গাছ কেটে ফেলায় কমে এসেছে এদের বাসস্থান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ