উদ্ধারের আগে রাজু কালান্দার সম্প্রদায়ের কাছে বন্দি জীবন কাটাচ্ছিল। কালান্দার কর্ণাটক রাজ্যের একটি যাযাবর সম্প্রদায়, যারা জীবিকার জন্য ভালুক পালন করতো।
ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস-এর একজন সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বন্যপ্রাণীদের শারীরিক ক্ষত হয়তো দ্রুতই সেরে যায়, কিন্তু তাদের মানসিক আঘাত সারতে অনেক বেশি সময় দরকার হয়। দীর্ঘ সাত বছর পর এখন রাজুর আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। সে তার অতীতের কষ্টকর জীবন থেকে ধীরে ধীরে মানসিক মুক্তি লাভ করেছে।
জানা যায়, রাজুর সহজাত প্রবৃত্তি ফিরিয়ে আনতে উদ্ধারকর্মীরা স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ করেন এবং অন্য ভালুকদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তাকে ছেড়ে রাখা হয়।
ড্যান্সিং বিয়ারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। কিন্তু এ আইন কার্যকর করতে ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভালুকদের উদ্ধার করতে অনেক বছর লেগে যায়।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘ড্যান্সিং বিয়ার রিহ্যাবিলিটেশন প্রোজেক্টে’র অধীনে প্রাণী কল্যাণ সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস’ মোট ৬২৮টি ভালুক উদ্ধার করে। উদ্ধারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী রাজুই ছিল ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার, যাকে উদ্ধার করা হয় ২০০৯ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ