শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন ও রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, সুন্দরবনের চ্যানেলে পোল্ডার (উদ্ধারকৃত নিম্নভূমি রক্ষায় বাঁধ) স্থাপন ও আবাদী জমিতে লবণাক্ত পানি আটকে রেখে চিংড়ি চাষ, কৃত্রিম ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা, পশু শিকার এবং গাছকাটার কারণে আমাদের জাতীয় এ সম্পদ এখন ধ্বংসের সর্বোচ্চ হুমকির সম্মুখীন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) বৈশ্বিক সমন্বয়কারী ও অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির কোর গ্রুপ সদস্য শরীফ জামিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ ও বাপা’র সহ-সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সব কাজ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। এ দাবিগুলো হলো- সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি কর্তৃক সরকারের কাছে জমাকৃত ১৩টি গবেষণা প্রতিবেদন ও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের ভিত্তিতে বন রক্ষায় সার্বিক পদক্ষেপ নিতে হবে; ১৩টি গবেষণাপত্র বিষয়ে সরকারের কোনো বিজ্ঞানসম্মত দ্বিমত থাকলে তিন সপ্তাহের মধ্যে তা প্রকাশ এবং সে বিষয়ে সরকার ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির কাছে গ্রহণযোগ্য দিন ও সময়ে উন্মুক্ত আলোচনার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে; সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী বা অভ্যন্তরের নির্মাণাধীন ও পরিকল্পিত ৩২০টি প্রকল্প ও স্থাপনা অপসারণ, নির্মাণাধীন প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ, বরাদ্দকৃত সকল প্লট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; সুন্দরবনের ওপর অন্যান্য সব অনিয়ম-অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং বন বিভাগের জনবল বৃদ্ধি ও তাদের কাজের পরিধি, একাগ্রতা, সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এসই/এইচএ/