মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষক বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ সাপের নাম Black-Banded Trinket Snake। এর বৈজ্ঞানিক নাম Oreocryptophis porphyraceus।
তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) লাউয়াছড়ার জানকিছড়ায় অবমুক্ত করা হয় ‘ব্লাক-বেন্ডেড ট্রাংকেল স্নেইক’ নামক বিরল একটি সাপ। স্থানীয় বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন এ সাপটিকে ৩১ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার জাগছড়া চা বাগান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। দেশের ৯৪ প্রজাতির সাপের তালিকায় ‘ব্লাক-বেন্ডেড ট্রাংকেল স্নেইক’ সাপটির কথা উল্লেখ করা আছে।
তিন আরও বলেন, এরূপ বিরল একটি সাপ উদ্ধার করে ৩-৪ দিন নিজেদের রাখার পরও আমাদের বন বিভাগকে এ সাপটির ব্যাপারে কিছুই অবহিত করেনি বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তা জানতে পেরেছি।
বন্যপ্রাণী বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এ কাজগুলো করা উচিৎ বলেও জানান এসিএফ তবিবুর রহমান।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবসময়ই বন্যপ্রাণী বিভাগকে আমাদের বন্যপ্রাণী উদ্ধারের বিষয়গুলো জানিয়ে আসছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্লাক-বেন্ডেড ট্রাংকেল স্নেইক’ এ সাপটি আমাদের দেশের খুবই বিরল প্রজাতির। এরআগে লাউয়াছড়াতে এ প্রজাতির দু’টি মৃত সাপ পাওয়া গিয়েছিলো। এটা বছর দু’এক আগে। আরেকটা পাঁচ-ছয় বছর আগে। এবার জীবিত পাওয়া গেলো।
সাপটির নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্লাক-বেন্ডেড ট্রাংকেল স্নেইক’ এর সুনির্দিষ্ট কোনো বাংলা নাম নেই। তবে এটি দুধরাজ গোত্রের সাপ। ট্রিংকেট স্নেইকগুলোকে দুধরাজ বলে। যদি বাংলাতে একটি নাম দিতেই হয় তবে এটিকে ‘লাল দুধরাজ’ বলা যেতে পারে। এটি অবশ্য প্রচলিত নাম না। এরা দৈর্ঘ্য তিন থেকে সাড়ে তিন ফিট লম্বা হয়ে থাকে।
সর্বপ্রথম ফেসবুকের মাধ্যমে এ বিরল সাপের আমি খবরটি জানতে পেরেছেন বলেও জানান বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
বিবিবি/জিপি