রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জলবায়ু তহবিল বিষয়ক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে যখন আমার বয়স ৩৬ বছর, তখন থেকেই আমি এ ধরনের সমস্যা দেখে আসছি। তখন আমি দেখলাম বিশ্বের ৬ ভাগ মানুষ ৬০ ভাগ সম্পদ দখল করে আছে। সেটা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার মতোই একটি সমস্যা। সেই সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ, সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ, ব্রাক এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে পাঁচ মহাদেশের ১৩ দেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। তারা ১৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ব জলবায়ু সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও জলবায়ু তহবিল গঠনের বিষয়টি উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ড. সালিমুল হক, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের ফেলো গোলাম রব্বানি, ইউনির্ভাসিটি অব টরন্টোর প্রফেসর ড. মনিরুল কিউ মির্জা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/