আর মোট পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ৩৮ প্রজাতির ৫ হাজার ৪শ ১৮টি। এই সংখ্যার মধ্যে এক হাজার ৫শ ৮০টি সর্বাধিক সংখ্যা হলো পাতি তিলিহাঁসের।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম হক বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেলের প্রজেক্টের সহযোগিতায় গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বাইক্কা বিলে একটি বার্ড সার্ভে করা হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজারের উপরের পরিযায়ী পাখি দেখা যায়।
গত বছরের পরিসংখ্যান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে পাখি শুমারিতে বাইক্কা বিলে ৪১ প্রজাতির ১০ হাজার ৭শ ১৩টি পাখি পাওয়া গিয়েছিলো। এর আগে ২০১৬ সালে পাওয়া গিয়েছিলো ৩১ প্রজাতির ৮ হাজার ৮শ ৩১টি পাখি।
পাখির সংখ্যা হ্রাসের কারণ বিষয়ে এই পাখি বিশেষজ্ঞ বলেন, গত বছর সব বিলেই তার আগের বছরের চেয়ে বেশি পাখি পাওয়া গিয়েছিলো। এবছর হাওরগুলোতে গত বছরের চেয়ে কম সংখাক পাখি আছে। প্রতি বছরই পাখির সংখ্যা উঠা-নাম হচ্ছে। তাই ঠিক ওইভাবে বলতে পারবো না যে, অনবরত কমেই যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এবছর জানুয়ারির শেষে বাইক্কা বিলে গিয়ে ‘পাতি তিলিহাঁস’ বেশি পেয়েছি। ফেব্রুয়ারিতে পাখি শুমারি করলে হয়তো অন্য একটি প্রজাতির হাঁস বেশি পাওয়া যেতো। পাতি-তিলিহাঁসগুলোকে জানুয়ারিতে যেভাবে বেশি সংখ্যায় দেখা যায়, তেমন ফেব্রুয়ারিতে দেখা যায় না। পানি কমলে-বাড়লে একেক হাঁসের সুবিধে হয়, আবার একেক হাঁসের অসুবিধেও হয়। সে অনুযায়ী ওরা অবস্থান করে কিংবা অন্যত্র সরে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
বিবিবি/জিপি