ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

তপ্ত দুপুর ছিল রোববার, মার্চের শেষে তাপদাহ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
তপ্ত দুপুর ছিল রোববার, মার্চের শেষে তাপদাহ তীব্র গরমে নাকাল সিএনজি অটোরিকশার চালক/ছবিটি কাকরাইল থেকে তোলা।

ঢাকা: বসন্তের দিন এগোতেই প্রকৃতি হয়ে উঠছে আরও রুক্ষ। দু’দিন ধরে গনগনে সূর্যের তাপ ঢাকাবাসীকে দিয়েছে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। এদিন দুপুরের তপ্ত রোদে রাজপথ অনেকটা ছিল ফাঁকা। কিন্তু বিকেল গড়াতেই যানজট আর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চরম অস্বস্তি ছিল নগরবাসীর। মার্চের শেষে আরও বাড়বে এই তাপদাহ।

অবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রোববার (৪ মার্চ) শীতকালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকায় ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তপ্ত দুপুরে ঢাকার রাজপথে রোদের কারণে পথচারী ও যানবাহনে চলাচলকারী মানুষের চোখে-মুখে ছিল অস্বস্তির ছাপ।


 
হঠাৎ করে শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেড়ে যায় ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ঢাকার এই তাপমাত্রা মতিঝিল-পল্টন এলাকায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। আবহাওয়ার বিশেষায়িত ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, সোমবারও তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রিতে উঠবে। এরপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে আগামী কয়েকদিন। সপ্তাহখানেক  পরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা।
 
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে চলতি মাসে তাপদাহসহ কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
 
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক গত বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
 
আবহাওয়া অফিস বলছে, মার্চ মাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসেও ছিল বৃষ্টির অস্বাভাবিকতা। সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭০ দশমিক ৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানায় বিশেষজ্ঞ কমিটি।
 
মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের (৩৪-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) চেয়ে এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে একটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপদাহ বয়ে যেতে পারে।
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মাসে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দু’দিন ও দেশের অন্যত্র চার থেকে পাঁচদিন শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্র-ঝড় হতে পারে।  
 
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ।
 
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়েছে। সূর্য কিরণ বেশি থাকা এবং বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামী দু’একদিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যাবে।
 
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 
সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
 
২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।