বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে এক সময় ব্যাপকভাবে পাওয়া যেত এই মাছটি। বর্তমানে সে ‘দুষ্প্রাপ্য’ তালিকায় ঠাঁই নিয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্বাদুপানির সুস্বাদু মাছগুলো বিলুপ্তির নানা কারণ রয়েছে। এগুলো হলো, কৃষিজমিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আমাদের জলাশয়গুলো ক্রমশই বিষাক্ত হয়ে পড়ছে।
এছাড়াও কল-কারখানার বিষক্রিয়াযুক্ত বর্জ্য জলাভূমিগুলোতে পড়ে মাছকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এক শ্রেণীর মৎস্যজীবীরা অবাধে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করে দেশি মাছের প্রজননকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
তবে স্থানীয়ভাবে বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে তারা ফিরিয়ে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
‘কসুতি পুঁটি’ সম্পর্কে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এর ইংরেজি নাম Cosuatis Barb এবং বৈজ্ঞানিক নাম Oreichthys cosuatis। স্থানীয়ভাবে এই মাছটিকে ‘কোসা পুঁটি’ বলে। এটি একটি দুষ্প্রাপ্য মাছ। এই মাছটি সাধারণত হাওর, নদী, খাল, বিল ও ডোবায় পাওয়া যায়। বর্ষার শুরুতে বৃষ্টির সময় প্রজনন করে। এরা ঘাস-লতাপাতা সমৃদ্ধ অল্প পানিতে বসবাস করতে পছন্দ করে।
এ মাছটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্শ্বরেখার উপর অবস্থিত আঁইশ অন্যান্য আঁইশ অপেক্ষা বড়। পৃষ্ঠীয় পাখনার উচ্চতা দেহের গভীরতার তুলনায় বেশি। রুপালি আঁইশের গোড়ালি কালচে। পৃষ্ঠীয় ও পায়ু পাখনায় কাল ফোটা থাকে। এদের মাথার পাশে অনেক সেন্সরি ফোল্ড থাকে। মুখ ছোট এবং কোনো বার্বেল নাই। লম্বালম্বি আঁইশের সংখ্যা ২২।
এটি পুকুরে চাষ ও একুরিয়ামের উপযোগী হলেও বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়নি। এই ‘কসুতি পুঁটি’র ছবিটি সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
বিবিবি/এমএ