এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, এই বিরল মাছটির নাম ‘তেলচিটা পাথরচাটা’। এছাড়াও মাছটি ‘তেলচিটা’, ‘তেলা’এবং ‘দলমাগুর’ নামে পরিচিত।
এর ইংরেজি নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর ইংরেজি নামটি একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ওখানেও সিলেট শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এর কারণ হলো সারাদেশের মাঝে সর্বপ্রথম এই মাছটিকে সিলেট অঞ্চলেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো এবং যে ব্যক্তি এই মাছটি খুঁজে পেয়েছিলেন তার নামটিও ইংরেজি নামের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মাছটির সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার। ২০১৭ সালের নভেম্বরে মৎস্য জরিপে আমরা এ মাছটির সন্ধান পাই।
মাছটির শারীরিক গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, তেলচিটা পাথরচাটা মাছটির দেহ মুচাকৃতি। মাথা চাপা ও নাসাগ্র কিছুটা ভোতা। মুখ অবনত, আড়াআড়ি এবং ঠোঁট পুরো প্যাপিলাযুক্ত। পৃষ্ঠীয় পাখনা দুর্বল ও মসৃণ। অক্সিপিটাল অস্থি পৃষ্ঠীয় পাখনার গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে না। বক্ষে লম্বালম্বি পুরু চামড়ার থোরাসিক ধারণ উপাঙ্গ রয়েছে যেটি তা প্রস্থের চেয়ে দৈর্ঘ্যে বেশি। ফুলকামুখ মাথার নিম্নদিকে শেষ প্রাপ্ত পর্যন্ত লম্বায় রয়েছে। জোড় পাখনা আনুভূমিক।
চোখ পৃষ্ঠদেশে চামড়ার পর্দায় আবৃত। রাসারন্ধ্র পরস্পর ঘনসন্নিবিষ্ট, নাসিকা বার্বের যুক্ত ধারকঝিল্লি দ্বারা বিমুক্ত। পৃষ্ঠীয় পাখনা নাসাগ্র অপেক্ষা মেদ পাখনার অতি নিকটবর্তী। মোট চার জোড়া বার্বেল রয়েছে, সবগুলো মাথার চেয়ে খাটো। ত্বক টিউবারকলযুক্ত। পৃষ্ঠদেশ কালচে বাদামি এবং নিম্নদেশ হলুদাভ। পাখনার গোড়ায় কালো ডোরা রয়েছে।
‘তেলচিটা’ প্রাকৃতিগতভাবে শান্ত প্রকৃতির মাছ। ঝর্ণা বা নদীর বালুকময় অথবা পাথুরে তলদেশে এরা বাস করে বলে জানান কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ