সোমবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সবুজ প্রবৃদ্ধি: গণমাধ্যম সংলাপ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনাল ও ইউকে এইড-এর সহযোগিতায় ও পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান কামরুল চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, মানুষই পরিবেশের ক্ষতি করে আবার মানুষই পারে পরিবেশের উন্নয়ন করতে। তাই পরিবেশ উন্নয়নের দায়িত্ব মানুষকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে ধরনের পরিকল্পনা নিচ্ছি তাতে আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে আমরা পরিবেশের উন্নয়ন করতে পারবো। ঢাকার চার নদীতে আবার আমরা নৌকা বাইচ দেখতে পাবো।
সুলতান আহমেদ বলেন, গত ১০ বছর ঢাকার চার পাশের নদী পরীক্ষা করে দেখেছি। বছরের তিন মাস এই নদীগুলো অক্সিজেন শূন্য থাকে। এসময় ওই নদীর পানিতে মাছসহ কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, আমরা যখন গ্রিন গ্রোথ বা টেকসই উন্নয়ন বলি তখন তিনটা জিনিস থাকতে হবে। প্রথমত এটা যেন অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হয় এবং যেন লাভজনক থাকে; দ্বিতীয়ত এটা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। যে এলাকায় কাজটি করবো সেই এলাকার মানুষ যেন উপকৃত হয় আর তৃতীয়ত পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে হবে। সংবিধানের ১৮ (ক) তে আছে রাষ্ট্র দায়িত্ব নিয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ করার। আমাদের জীববৈচিত্র্য-জলাভূমি, ওয়াইল্ড লাইভ, ফরেস্ট এগুলিকে সংরক্ষণ করবে রাষ্ট্র। এর দায়িত্ব রাষ্ট্র নিয়েছে। এদিক থেকে আমরা সচেতন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মরুভুমিকরণ প্রতিরোধে জাতিসংঘ কনভেনশনের (ইউএনসিসিডি) সাবেক পরিচালক ড. রেজাউল করিম, এডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ম্যানেজার সুভজিত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এমএইচ/আরআর