আটক বাচ্চাগুলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের সাইকেল সেডে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
তিন আঙ্গুল বিশিষ্ট এমুর বাচ্চাগুলোর গায়ের রঙ ধূসর।
তিনি জানান, আটক বাচ্চাগুলোর ছবির সঙ্গে ইন্টারনেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন ছবির সঙ্গে মিল করে এবং কয়েকজন প্রাণিবিদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে- এগুলো এমুপাখির বাচ্চা।
বাচ্চাগুলোকে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে মুরগির ডিম, গ্লুকোজ, স্যালাইন, লেবুর পানি, ব্রয়লার মুরগির খাবার ও সবজি খাওয়ানো হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে বাচ্চাগুলোকে প্রাণিসম্পদ অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পাখিগুলোর দাম প্রতিটি প্রায় এক লাখ টাকা করে।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওলিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উটপাখি ও এমুপাখি একই শ্রেণির হলেও তাদের গোত্র আলাদা। উটপাখির পায়ের আঙুল দু’টি আর এমুর পায়ের আঙুল তিনটি। পৃথিবীতে উড়তে পারে না এমন পাখিদের মধ্যে এমু একটি। এরা হলো অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। আর যদি সমগ্র পৃথিবীর কথা ধরা হয়, তাহলে এরা হলো তৃতীয় বৃহত্তম পাখি। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Dromaius novaehollandiae। এক-একটি এমুর উচ্চতা হয় প্রায় ৬ ফুট।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্ম শাখরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ৭৫টি এমুপাখির বাচ্চা আটক করে বিজিবি।
** সাতক্ষীরা সীমান্তে ৭৫টি উট পাখির বাচ্চা উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
আরএ