বিপদজনক এই বোলতার নাম ‘ক্যালিস্টোগা ক্রাসিকাউডাটা’ (Calistoga crassicaudata)। সম্প্রতি এই বোলতার চিত্তাকর্ষক কিছু ছবি এবং বিস্তারিত বর্ণনা প্রকাশিত হয় ‘যুটাক্সা’ জার্নালে।
গবেষকদলের সহকারী পতঙ্গবিজ্ঞানী ইলারি সাকস্জারভি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করছি। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক প্রজাতি আমাদের অভিভূত করতে পারে।
জানা যায়, এই বোলতাগুলো আংশিক-পরজীবী। অন্য পতঙ্গের দেহে এরা ডিম পাড়ে এবং পর্যায়ক্রমে ওই পতঙ্গকে মেরে ফেলে। অন্য পতঙ্গের দেহে ডিম পাড়ার জন্য প্রকাণ্ড হুল ব্যবহার করে এরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই হুলের দংশনে তেমন ব্যথা পাওয়া যায় না। তাছাড়া এরা মানুষের জন্য তেমন বিপদজনক নয়। কারণ এদের প্রকাণ্ড হুলগুলো বেশ দুর্বল হওয়ায় মানুষের চামড়ায় বিঁধতে পারে না। আমাজনে পোকামাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই বোলতা।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এনএইচটি/এএ