ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বছরে ৫০ কোটি মেট্রিকটন ক্ষতিকর পোকামাকড় খায় পাখি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
বছরে ৫০ কোটি মেট্রিকটন ক্ষতিকর পোকামাকড় খায় পাখি পোকা খচ্ছে পাখি

পাখি ছাড়া সবুজ কোনো প্রান্তর কল্পনা যেন জুতসই হয় না। আবার পাখির কিচির-মিচির কোলাহল ছাড়া প্রকৃতির আমেজও যেন ঠিক উপভোগ করা যায় না। পাখি শুধু প্রকৃতিতে দৃশ্যমান থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বাস্তুসংস্থান চক্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে পাখির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
 

প্রতিবছর সারাবিশ্বের পাখিরা ৪০ থেকে ৫০ কোটি মেট্রিকটন ক্ষতিকর পোকামাকড় খায়। বিভিন্ন গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক।

 

গুবরে পোকা, মাছি, পিঁপড়া, মথ, জাবপোকা, ঘাসফড়িং, ঝিঁঝিঁ পোকাসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থোপোডা খায় পাখিরা। গবেষকরা বলছেন, উদ্ভিদখেকো পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাখিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  

পাখিরা সাধারণত চাষাবাদের মৌসুমে পোকামাকড় শিকার করে। এসময় তাদের প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এছাড়া ছানাদের খাবারের জন্যও তারা শিকার করে।  
পোকা খাচ্ছে পাখি
গবেষণা দলের প্রধান ড. মার্টিন নিফেলার বলেন, পাখিরা প্রতিবছর পোকামাকড় খেয়ে যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চয় করে তা নিউইয়র্ক শহরের আকারের সমান হবে।  

বনে থাকা পাখিরা ৭০ শতাংশ পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। যা মোট হিসাব করলে প্রতিবছর ৩০ কোটির মতো দাঁড়ায়। তৃণভূমি, ফসলি জমি, মরুভূমিতে থাকা পাখিরা বনে থাকা পাখির তুলনায় অনেক কম পরিমাণ পোকামাকড় খায়।  

পাখি ছাড়া খুব অল্পসংখ্যক অন্য প্রাণী ক্ষতিকর পোকামাকড় খায়। এদের দলে আছে মাকড়সা ও অন্য পোকামাকড়খেকো প্রাণী।  

তবে পাখিদের বিপন্ন হওয়ার কথাও বলেছেন গবেষকরা। ড. নিফেলার বলেছেন, পাখিরা বিপন্ন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বনের সংখ্যা কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিতে রাসায়নিক তীব্রতা বৃদ্ধি, মানুষসৃষ্ট কিছু দুর্যোগ প্রভৃতি।  
পোকা খাচ্ছে পাখি
তিনি আশঙ্কা করে বলেন, এসব বৈশ্বিক হুমকির সমাধান না করা গেলে বাস্তুসংস্থান প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়বে। কেননা পাখিরা ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে যে উপকার করে সেটা কমে যাবে।  

সুইজারল্যান্ডের বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি গবেষণায় এ তথ্য উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১০৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে তারা এ সংখ্যা হিসাব করেছেন। গবেষণাটির প্রধান ছিলেন মার্টিন নিফেলার। গবেষণাটি ‘দ্য সায়েন্স অব ন্যাচার’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।