সংস্থাটি প্রায় এক বছর ধরে চারটি মহাবিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ প্রজননে কাজ করে চলেছে। এ কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।
ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী এবং সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ শাহরিয়ার সিজার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনপদ থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া কচ্ছপগুলোর জন্য কৃত্রিম প্রজনন খামার করা হয়েছে। গাজীপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের এ খামারে চার প্রজাতির মোট ১৬টি কচ্ছপ রয়েছে।
তিনি জানান্, পাচার বা শিকারের সময় এ কচ্ছপগুলো উদ্ধার করে সংগ্রহ করা হয়। তবে ওরা এখনও প্রজনন করেনি। এটি একটি লম্বা সময়ের ব্যাপার।
কচ্ছপ প্রজনন খামারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, পাহাড়ি কচ্ছপের প্রজাতিগুলো পুনরায় প্রজননের মাধ্যমে এর বংশবৃদ্ধি ঘটানো এবং এগুলোকে একটা পর্যায়ে পাহাড়ে অবমুক্ত করে আমাদের প্রকৃতির মাঝে তাদের টিকিয়ে রাখা।
খামারে কচ্ছপের যে প্রজাতিগুলো রয়েছে:
১. ‘আরাকান পাহাড়ি কচ্ছপ’, ইংরেজি নাম Arakan Forest Turtle এবং বৈজ্ঞানিক নাম Heosemys depressa.
২. ‘হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ’ ইংরেজি নাম Hould Pahari Kocchop এবং বৈজ্ঞানিক নাম Indotestudo elongate.
৩. ‘দিবা কচ্ছপ’ ইংরেজি নাম Keeled Box Turtle এবং বৈজ্ঞানিক নাম Cuora mouhotii.
৪. ‘কালো পাহাড়ি কচ্ছপ’ ইংরেজি নাম Asian Giant Tortoise এবং বৈজ্ঞানিক নাম Manouria emys.
এখানের সবগুলো প্রজাতিই মহাবিপন্ন।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আরাকান পাহাড়ি কচ্ছপটি (Arakan Forest Turtle) আমরাই প্রথম বাংলাদেশে আবিষ্কার করি। এর আগে এ কচ্ছপ দেশে দেখা যায়নি। এখনও বাংলা নামকরণ হয়নি।
এ কৃত্রিম প্রজনন খামারের মাধ্যমে একেবারে বিলুপ্তপ্রায় মহাবিপন্ন পাহাড়ি কচ্ছপগুলোকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ শাহরিয়ার সিজার রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
বিবিবি/এনএইচটি